ভারত একটি কৃষি প্রধান দেশ, দেশের অর্থনৈতিক স্থিতাবস্তা অনেকাংশ নির্ভর করে চাষবাসের উপর। তাই কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের কথা মাথায় রেখে আনতে চলেছে পিএম প্রণাম স্কিম (Pm Pranam Scheme) নামে একটি নতুন প্রকল্প।
কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এর আগে কৃষকদের জন্য পিএম কিষান যোজনা, কৃষক বন্ধু প্রকল্প মতো প্রকল্পের সুবিধা দিয়ে আসছে। এই সমস্ত যোজনা গুলির মধ্যে কৃষকদের জন্য নতুন সংযোগ হল পিএম প্রণাম স্কিম বা PM Promotion of Alternate Nutrients for Agriculture Management Yojana ।
দেশের বেশিভাগ কৃষক সার প্রয়োগের সঠিক নিয়ম জানে না, যে কারণে ফসল ঠিকঠাক উৎপন্ন হয়না, ফসলে রোগ দেখা দেয়, জমির উর্বরতা কমে যায়। বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের সারের প্রয়োজন হয়, আর অধিক রাসায়নিক সার প্রয়োগের ফলে জমির ক্ষতির সঙ্গে সঙ্গে মানবদেহে নানাবিধ রোগের বাসা করছে। এই কারণে সরকার পিএম প্রণাম স্কিমের (Pm Pranam Scheme) পরিকল্পনা করে কেন্দ্রীয় সরকার।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার কৃষকদেরকে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে পরিবেশ বান্ধব জৈব সারের প্রয়োগের উপর জোর দেবে। কোন জমির ক্ষেত্রে কি কি সার প্রয়োগ করতে হবে, যাতে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পায় সেদিকে নজর রাখবে সরকার। সরকারের তরফ থেকে সার কেনার জন্য কৃষকদেরকে সাবসিডি দেওয়া হবে।
পিএম প্রণাম স্কিম (PM Pranam Scheme) কি?
কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা কৃষকদের জন্য চালু করা নতুন প্রকল্পের নাম পিএম প্রণাম স্কিম (Pm Pranam Scheme) । এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভারতবর্ষের প্রায় সমস্ত কৃষক বন্ধুরা লাভবান হবেন। কেন্দ্র সরকার বর্তমানে এই প্রকল্পের জন্য ১.০৫ লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে যার পরিমান বেড়ে ২.৩৫ লাখ কোটি টাকা হবে বলে মনে করা হচ্ছে ।
জমির সার কেনা ও পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য যে সাবসিটি দেওয়া হবে তার ৫০ শতাংশ রাজ্য সরকারকে বহন করতে হবে। রাজ্যগুলিকে মোট টাকার ৭০% জৈব সার উৎপাদনের জন্য ব্যবহার করতে হবে। আর বাকি ৩০% টাকা জৈব সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহ দিতে কৃষকদের অথবা গ্রামের কৃষক সমিতিদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।
🔥আরও পড়ুনঃ-
পিএম প্রণাম স্কিম (PM Pranam Scheme) চালু করার কারণ
বিভিন্ন সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১৭-১৮ সালের তুলনায় ২০২১-২২ সালে রাসায়নিক সার ব্যবহারের হার প্রায় ২১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে যা সরকারকে ভাবিত করেছে। অধিক রাসায়নিক সার ব্যবহারে জমির ক্ষতির পাশাপাশি মানব দেহে অসংখ্য রোগের বাসা বাঁধছে।
সরকার এই প্রকল্পের মাধ্যমে অতি গ্রাম স্তরের চাষীদের কাছে পৌঁছাতে চাচ্ছে । কৃষকরা এই প্রকল্পের সুবিধা ঠিকঠাক পাচ্ছে কিনা তার জন্য নজরদারি রাখবে। বিশেষজ্ঞদের মতে এই প্রকল্প সঠিক ভাবে প্রয়োগ হলে, ফসল উৎপন্ন দ্বিগুণ হয়ে যাবে।