2021 সালের আগস্টে ই শ্রম কার্ড চালু হবার পর থেকে এই কার্ড এর কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে তা নিয়ে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্ত ছিল। তবে সূত্রের খবর নারী-পুরুষ নির্বিশেষে ই শ্রম কার্ড উপভোক্তারা জুলাই মাসে পেতে চলেছে ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা।
খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষদের উন্নয়নের কল্যাণে কেন্দ্র সরকার ই শ্রম কার্ডটি চালু করেন দেশ বাসীর উদ্দেশ্যে। এই প্রকল্প চালু হবার পর থেকে এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার জন্য মানুষের হিড়িক পড়ে যায়। E-Shram Card প্রকল্পে কোটি কোটি ভারতবাসী ইতিমধ্যে তাদের নাম নথিভুক্ত করেছে।
কোন কোন ই শ্রম উপভোক্তারা ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা পাবে, আর কারা পাবেনা। পশ্চিমবঙ্গের ই শ্রম কার্ড হোল্ডাররা আদৌ কি এই সুবিধা পাবে? এই সুবিধা পেতে গেলে কি ভাবে আবেদন করা যাবে তা নিচে বিস্তারিত জানাবো।
ই শ্রম কার্ড কি?
দিন দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ থেকে শুরু করে দেশের সমস্ত শ্রমিকরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারে। ইতি মধ্যে আবেদনকারী প্রতিটা শ্রমিক তারা তাদের ই শ্রম কার্ড পেয়ে গেছে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে সুবিধাভোগীরা কোন কারণ বশত শারীরিকভাবে অক্ষম হয়ে গেলে এক কালীন ১ লাখ টাকা এবং যদি কেউ মারা যায় তবে তার পরিবারকে ২ লাখ টাকার Death Insurance সুবিধা দেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের প্রায় সকল প্রকার প্রকল্পের সুবিধা ই শ্রম কার্ড হোল্ডাররা সবার আগে পেয়ে থাকে। কেন্দ্ৰীয় সরকারের শ্রম দপ্তর থেকে ই শ্রম কার্ড হোল্ডারদের জন্য খুশির খবর দিয়েছে, ই শ্রম কার্ড থাকলে উপভোক্তা পেতে পারে ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা।
ই শ্রম কার্ড –এর ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা কারা পাবেনা?
কারা কেন্দ্র সরকারের শ্রম দপ্তর থেকে দেওয়া ৩০০০ ও ৫০০০ টাকার সুবিধা পাবে কারা পাবেনা তা নিচে দেওয়া হল।
- ১) সরকারি বা প্রাইভেট সেক্টরে কর্মরত কর্মচারিরা এই ৩০০০ এবং ৫০০০ টাকা সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
- ২) মহিলা পুরুষ নিবিশেষে ইনকাম ট্যাক্স দেওয়া কর্মচারিরা এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে।
- ৩) Employees Provident Fund Organisation তে অ্যাকাউন্ট খোলা থাকলে এই সুবিধা পাবেনা।
- 8) New Pension Scheme এর সুবিধা প্রাপকরা এই ৩০০০ এবং ৫০০০ টাকা সুবিধা পাবেনা।
🔥আরও পড়ুনঃ-
👉 রেশন কার্ড নিয়ে বড় Update! শীঘ্রই বন্ধ হয়ে যাচ্ছে বিনামূল্যের রেশন, কাদের জেনে নিন
ই শ্রম কার্ড –এর ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা কারা পাবে?
এই টাকা যারা পাবেন তাদের লিস্ট হল- সমস্ত কৃষক শাকসবজি ও ফল বিক্রেতা, অটোরিক্সার চালক, পরিযায়ী শ্রমিক, বিড়ি প্রস্তিতকারী শ্রমিক, খবরের কাগজ বিক্রেতা, নাপিত, আশা কর্মী, গৃহ নির্মাণ কর্মী, ইটভাটা শ্রমিক, জেলে, চর্ম শিল্পের শ্রমিক, নির্মাণ শ্রমিক, এবং লবণ শিল্পে নিযুক্ত শ্রমিকগন যারা শ্রমিকের মধ্যে পরে তারা প্রত্যেকে ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা করে পাবে।
উপরে উল্লেখিত শ্রমিকদের মধ্যে যারা প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা ও অটল পেনশন যোজনার জন্য আবেদন করে রেখেছে, তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সরাসরি ৩০০০ টাকা ও ৫০০০ টাকা ঢুকবে।
প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা (Mantri Mandhan Yojana) ও অটল পেনশন যোজনাতে (Atal Pension Yojana) আবেদনের জন্য জরুলী ডকুমেন্ট
প্রধানমন্ত্রী মানধন যোজনা (Mantri Mandhan Yojana) ও অটল পেনশন যোজনাতে (Atal Pension Yojana) আবেদন করতে গেলে আবেদনকারীকে দিতে হবে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ব্যাংক একাউন্ট নাম্বার এবং মোবাইল নাম্বার।
বিড়ি শ্রমিক কার্ড কি এবং কারা আবেদন করতে পারবে?
ভারতে দরিদ্র সীমার নিচে থাকা বিড়ি শ্রমিকদের কথা ভেবে সরকার বিড়ি শ্রমিক কার্ড ইস্যু করে। যেখানে বিড়ি তৈরিকারী শ্রমিকরা তাদের স্থানীয় শ্রম দপ্তরে এসে আবেদন করতে পারবে।
বিড়ি শ্রমিক কার্ড -এর আবেদনকারী শ্রমিককে বিড়ি তৈরির যোগ্যতা, বিড়ি শিল্পে কাজ করার প্রমান পত্র, আধার কার্ড সহ অন্যান্য বৈধ কাগজ পত্র নিয়ে যেতে হবে।
বিড়ি শ্রমিক কার্ড প্রাপ্ত শ্রমিকরা স্বাস্থ্যের জন্য চিকিৎসার সুবিধা, বীমার সুবিধা, শিশু শিক্ষা এবং পেনশন এর মতো সুবিধা গুলি পাবে।