জাতীয় শিক্ষানীতি অবশেষে চালু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ সহ ভারতের অন্যান্য রাজ্য গুলিতে। এই বছর জুলাই মাস থেকে চালু হতে যাওয়া শিক্ষানীতির মাধ্যমে পরিবর্তন হতে চলেছে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের পঠন-পাঠনের নিময়। তাই এই জাতীয় শিক্ষানীতির প্রয়োগে রাজ্যের কলেজ গুলির কর্মযজ্ঞ এখন তুঙ্গে। কলেজ গুলিতে এই নীতিকে বাস্তবায়িত করার জন্য, কলেজ গুলি পরিকাঠামোর উপর জোর দিচ্ছে।
অন্য রাজ্য গুলি এই জাতীয় শিক্ষানীতি, তাদের রাজ্যে চালুকরতে চাইলেও পশ্চিমবঙ্গে আদোও এই শিক্ষানীতি চালু হবে কিনা তা নিয়ে অনেকে দ্বন্দ্বে ছিল। কারণ এই শিক্ষানীতির মাধ্যমে এক জন শিক্ষাত্রীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি শেষ করতে সময় লাগবে চার বছর। অবশেষে সব জলপনার অবসান ঘটিয়ে পশ্চিমবঙ্গে চালু হতে চলেছে জাতীয় শিক্ষানীতি (National Education Policy)।
তবে অনেক অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন কলেজের বিরুদ্ধে। তারা কোন সুনির্দিষ্ট নিয়মিত না মেনে ছাত্রছাত্রীদেরকে কলেজে ভর্তি করছে। উচ্চশিক্ষা নীতি অনুযায়ী দুই-এক বছর পড়ার পর কোনো শিক্ষাত্রী চাইলে বেরিয়ে যেতে পারে। যাদবপুর ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় তে জেনারেল কোর্স গুলির ক্ষেত্রে তিন বছর এবং স্নাতক কোর্স গুলির ক্ষেত্রে চার বছর করেছে। রাজ্যের অনেক কলেজ এখন দুই-এক বছর পড়ার পর শিক্ষাত্রীর বেরিয়ে যাবার কোন সুযোগ রাখছেনা। তাই স্বাভাবিকভাবে পরবর্তী কালে কোনো শিক্ষার্থী অসুবিধার মধ্যে পরতে পারে।
জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) সুবিধা
জাতীয় শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে। যেমন-
- শিক্ষার্থী এক বছর পড়লে টু সেমিস্টারের সার্টিফিকেট পাবে।
- শিক্ষার্থী দু বছরের জন্য পড়লে ফোর সেমিস্টার ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট পাবে।
- শিক্ষার্থী তিন বছরের জন্য পড়লে সিক্স সেমিস্টার সহ স্নাতক ডিগ্রি পাবে।
- শিক্ষার্থী চার বছরের জন্য পড়লে ফোর সেমিস্টার অনার্স অফ রিসার্চ ডিগ্রি পাবে।
- যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা চার বছরের জন্য রিসার্চ স্ক্রিম নেবেন তাদেরকে ব্যাচেলার উইথ রিসার্চ বলে গণ্য করা হবে।
- আর শিক্ষার্থী যদি ছটি সেমিস্টারে ৭৫% নাম্বার পায়, তবে সেই শিক্ষার্থী অনার্স পড়তে পারবে।
🔥আরও পড়ুনঃ-
জাতীয় শিক্ষানীতির (National Education Policy) অসুবিধা
জাতীয় শিক্ষানীতির ক্ষেত্রে বেশ কিছু অসুবিধা রয়েছে। এই শিক্ষানীতির নিয়ে অনেকে দ্বন্দ্বে আছে, কারণ শিক্ষক থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীর মধ্যে এখনো পর্যন্ত এই শিক্ষানীতির ধারণা পরিষ্কার হয়নি। কলেজ গুলির মান উন্নয়নের জন্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সরকারের অসীম চেষ্টার প্রয়োজন । তাছাড়া রাজ্যে প্রচুর কলেজ আছে যাদের পরিকাঠামো ঠিক নেই। এই শিক্ষানীতিকে বাস্তবায়িত করতে গেলে কলেজগুলিতে আরো অনেক শিক্ষক নিয়োগের আবশ্যক হবে, আর রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের বিভিন্ন অসুবিধার কারণে এই শিক্ষা নীতিকে বাস্তবায়িত করতে গেলে সরকারকে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে।