আজ এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব আলোচনা কর প্রশ্নের উত্তর অন্বেষণ করব। তার সামরিক দক্ষতা, কূটনৈতিক, শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা ভারতের ইতিহাসে তাকে স্মরণীয় করে রেখেছে।
উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও উদ্যম সাহসিকতা তাকে ভারতীয় উপমহাদেশে সাম্রাজ্য বিস্তার করতে সাহায্য করেছে। তার দ্বারা বিজয় করা অঞ্চলগুলিতে তিনি বিভিন্ন ধরনের প্রশাসনিক সংস্কার প্রবর্তন করেন। আর জয় করা অঞ্চলগুলিকে একত্রিত করে সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করেন যা তার বংশধরদের দীর্ঘদিন মোগল সাম্রাজ্যকে ঠিকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।
বাবরের প্রথম জীবন (Babur’s Early Life):
বাবরের বংশ পরিচয়
পানিপথের ঐতিহাসিক প্রান্তরে লোদী বংশের সৈন্য বাহিনীকে বিধ্বস্ত করিয়া বাবর ভারতে মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি স্থাপন করিয়াছিলেন। ভারতে সাম্রাজ্য বিস্তারের প্রচেষ্টা তাহার সার্থকতায় মণ্ডিত হইয়াছিল ।
কিন্তু তাঁহার পূর্ববর্তী জীবন ছিল নানা ব্যর্থতা ও বিপর্যয়ে ভরা। পিতার দিক দিয়া তিনি ছিলেন তৈমুরের এবং মাতার দিক দিয়া চিঙ্গিজ খাঁর বংশধর।
বাবরের জন্ম বাল্যকাল
বর্তমান রুশ-তুর্কীস্থানের অন্তর্গত ফরঘনা নামক ক্ষুদ্র রাজ্যের অধিপতি আমীর ওমর শেখ মির্জার পুত্র জাহির উদ্দিন মোহম্মদ ১৪৮৩ খ্রীষ্টাব্দে জন্ম গ্রহণ করেন।
ইনিই পরবর্তী যুগের ইতিহাসে বাবর নামে বিখ্যাত হইয়া উঠেন। বাল্যকালে তিনি শিক্ষার যথেষ্ট সুযোগ পাইয়াছিলেন এবং এই সময় হইতেই অত্যন্ত দুঃসাহসী ও দুর্ধর্ষ হইয়া উঠেন ৷
সমরখন্দের সিংহাসনের প্রতিদ্বন্দ্বী
পিতার আকস্মিক মৃত্যুর ফলে মাত্র একাদশ বৎসর বয়সে বাবর ফরঘনার সিংহাসনে আরোহণ করেন। এই সময় হইতেই তিনি তৈমুরের সাম্রাজ্য পুনঃসঞ্জীবিত করিবার স্বপ্ন দেখিতে থাকেন। সমরখন্দের সিংহাসন লইয়া তৈমুরের বংশধর- গণের মধ্যে আত্মকলহ দেখা দিলে তিনি এই সুযোগ গ্রহণ করিতে অগ্রসর হন।
রাজ্যচ্যুত বাবরের ভবিষ্যৎ স্বপ্ন
সাময়িকভাবে তিনি সমরখন্দ দখল করিতে পারিলেও শেষ পর্যন্ত তাঁহাকে উজবেগ দলপতি সাহেবানী খাঁর নিকট ১৫০৩ খ্রীষ্টাব্দে সম্পূর্ণ পর্যুদস্ত হইতে হয় এবং আপন পিতৃরাজ্যও হারাইতে হয়।
অতঃপর তিনি হৃত-সৰ্বস্ব হইয়া ভাগ্যান্বেষণে স্থান হইতে স্থানান্তরে ভ্রমণ করিতে থাকেন । এই সময় কঠোর জীবন যাত্রার মধ্য দিয়া তিনি তাঁহার জীবনের অনেক অমূল্য অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন এবং এই সময়েই তাঁহার মনে হিন্দুস্থান জয়ের সংকল্প দানা বাঁধিয়া উঠে ।
কাবুলে স্বাধীন রাজ্য ভারতের রাজনৈতিক অবস্থা
১৫০৪ খ্রীষ্টাব্দে তিনি কাবুল রাজ্যটি দখল করিতে সক্ষম হন। ইহার পর তিনি সমরখন্দের উপর উজবেগ আধিপত্য ধ্বংস করিবার জন্য কয়েকবার চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হন। অবশেষে সেই আশা ত্যাগ করিয়া তিনি দক্ষিণ পূর্ব দিকে অর্থাৎ হিন্দুস্থানের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করিতে থাকেন।
ভারতবর্ষের রাজনৈতিক অবস্থা তাঁহাকে এক অপূর্ব সুযোগ দান করিল । রাজনীতিগত ভাবে ভারত তখন ছিল সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এবং আত্মকলহে দুর্বল ।
পরীক্ষামূলকভাবে তিনি কয়েকবার প্রাথমিক অভিযান প্রেরণ করিলেন এবং বজৌর দুর্গ, ঝিলামের তীরে ভির নামক স্থান ও চীনাব নদীর অববাহিকা অঞ্চল দখল করিলেন। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরে অভিজানের জন্য তিনি সুযোগের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন ।
🔥আরও পড়ুনঃ-
পানিপথের প্রথম যুদ্ধ (First Battle of Panipath):
ভারত আক্রমণে আমন্ত্রণ
আভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অবস্থা শীঘ্রই তাঁহাকে সেই সুযোগ দান করিল । দিল্লীর লোদী বংশীয় সুলতান ইব্রাহীম লোদীকে সিংহাসনচ্যুত করিবার জন্য অভিজাতবর্গের একটি বিরাট অংশ তখন অতিমাত্রায় আগ্রহশীল হইয়া উঠিয়াছিল।
অবশেষে লাহোরের শাসনকর্তা দৌলত খাঁ এবং সিংহাসনের অন্যতম দাবিদার সুলতানের পিতৃব্য আলম খাঁ, একত্রে বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আহ্বান জানাইলেন।
পাঞ্জাবে উপস্থিতি ও লাহোর দখল
বাবর এই আমন্ত্রণ সানন্দে গ্রহণ করিয়া ১৫২৪ খ্রীষ্টাব্দ সসৈন্যে পাঞ্জাবে উপস্থিত হইয়া লাহোর দখল করিলেন। দৌলত খাঁ ও আলম খাঁ বাবরের সহায়তা চাহিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু এখন তাঁহারা বাবরের আসল উদ্দেশ্য বুঝিতে পারিয়া তাঁহার বিরুদ্ধাচরণ আরম্ভ করিলেন। ফলে বাবরকে কাবুলে ফিরিয়া যাইতে হইল।
পাণিপথের প্রথম যুদ্ধে বাবরের জয়
কিন্তু পরবৎসর, ১৫২৫ খ্রীষ্টাব্দে তিনি সসৈন্যে পাঞ্জাবে উপস্থিত হইয়া দৌলত খাকে ব্যতা স্বীকার করিতে বাধ্য করিলেন এবং পানিপথের প্রান্তরে তাঁহার সুশিক্ষিত অশ্বারোহী ও গোলন্দাজ বাহিনীর সহায়তায় ইব্রাহিম লোদীকে পরাজিত ও নিহত করিলেন।
দিল্লী বাবরের পদানত হইল। কিন্তু এই যুদ্ধের ফলেই সমগ্র হিন্দুস্থানের উপর বাবরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হয় নাই; পানিপথের যুদ্ধজয় মোগল সাম্রাজ্য স্থাপনের প্রথম পদক্ষেপ ছিল মাত্র ।
“The magnitude of Babur’s task could be properly realised when we say it actually began with Panipath. Panipath set his foot on the path of empire building and, in this path, the first obstacle was the opposition of the Afghan Tribes.” -An Advanced History of India.
মোগল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠা (Establishment of Mughal Empire):
দোয়াব অঞ্চল ও অন্যান্য স্থান অধিকার
পানিপথের প্রথম যুদ্ধে জয়লাভের পর দিল্লী ও আগ্রা বাবরের পদানত হইল ৷ অতঃপর তিনি তাঁহার আধিপত্য চতুর্দিকে বিস্তৃত করিবার জন্য সচেষ্ট হইলেন।
দোয়াব অঞ্চলের আফগান অভিজাতবর্গ দমন হইল; জৌনপুর, গাজীপুর, গোয়ালিয়র প্রভৃতি স্থান তাঁহার সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হইল।
মেবারের রাণা ও রাজপুত সঙ্ঘ
কিন্তু অনতিকালের মধ্যেই তাঁহাকে সম্মিলিত রাজপুত শক্তির সম্মুখীন হইতে হইল। তুর্কী-আফগান সুলতানির পতনোন্মুখ অবস্থার সুযোগ গ্রহণ করিয়া মেবারের রাণা সঙ্গ (বা সংগ্রাম সিংহ) হিন্দুস্থানে রাজপুত প্রাধান্য স্থাপনের আশা পোষণ করিতেছিলেন।
এই উদ্দেশ্যেই তিনি বাবরের সহিত পূর্ব হইতেই সংযোগ স্থাপন করিয়াছিলেন, কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তিনি বাবরের অভিযানে কোনরূপ সাহায্য করেন নাই ৷ এখন বাবরকে নির্বিবাদে হিন্দুস্থানে তাঁহার আধিপত্য বিস্তার করিতে দেখিয়া তিনি এক বিশাল রাজপুত সঙ্ঘ গড়িয়া তুলিলেন ।
থালুয়ার যুদ্ধ রাজপুত সঙ্ঘের পরাজয়
১৫২৭ খ্রীষ্টাব্দে খানুয়ার প্রান্তরে উভয় পক্ষের সেনাবাহিনীর সাক্ষাৎ হইল । সংখ্যাধিক্য থাকা সত্ত্বেও যুদ্ধ কৌশলের অপকর্ষতার ফলে রাজপুত বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় ঘটিল।
খানুয়ার যুদ্ধের ফলাফল
ভারতে রাজপুত প্রাধান্য প্রতিষ্ঠার আশা চিরতরে বিনষ্ট হইল। মোগল শক্তিকে প্রতিহত করিবার মত উপযুক্ত কোন শক্তিও আর রহিল না। দিল্লীতে বাবরের সিংহাসন নিরাপদ হইল, তাঁহার প্রাধান্য দৃঢ় ভিত্তির উপর স্থাপিত হইল, তাঁহার রাজনৈতিক কেন্দ্র কাবুল হইতে দিল্লীতে স্থানান্তরিত হইল ।
“In the first place, the menace of Rajput supremacy which had loomed large before the eyes of Muhammadans in India for the last few years was removed once for all.
The powerful confederacy which depended so largely for its unity upon the strength and reputation of Mewar, was shattered by a single great defeat and ceased henceforth to be a dominant factor in the politics of Hindustan. Secondly, the Mughul Empire of India was soon firmly established.” – Rushbrook Williams.
চান্দেরীর দুর্গ বাংলা-বিহারের আফগানগণ
খানুয়ার যুদ্ধের পর বৎসর, ১৫২৮ খ্রীষ্টাব্দে, বাবর দুর্ভেদ্য রাজপুত দুর্গ চান্দেরী দখল করিলেন। অতঃপর ১৫২৯ খ্রীষ্টাব্দে গোগরা (বা ঘাগরা) নদীতীরে তিনি বাংলা ও বিহারের আফগানদের সম্মিলিত বাহিনীকে সম্পূর্ণভাবে পরাজিত করিলেন ।
এই যুদ্ধে জয়ের ফলে এক বিরাট অংশে বাবরের আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত হইল। হিমালয়ের পাদদেশ হইতে দক্ষিণে গোয়ালিয়র পর্যন্ত এবং মধ্য-এসিয়ার অক্ষুনদী হইতে পূর্বে গোগরা নদী পর্যন্ত তাঁহার সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হইল। ১৫৩০ খ্রীষ্টাব্দে তাঁহার মৃত্যু হয় ।
বাবরের কৃতিত্ব আলোচনা কর | Achievements of Babur in Bengali
সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা চারিত্রিক গুণাবলী
মাত্র কয়েক বৎসরের মধ্যে বাবর ভারতবর্ষে মোগল সাম্রাজ্যকে প্রতিষ্ঠিত করিয়া গিয়াছিলেন। সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিশ্বের ইতিহাসে তাঁহার নাম চিরস্মরণীয় হইয়া থাকিবে।
তিনি ছিলেন দুর্ধর্ষ দুঃসাহসী সৈনিক, সুদক্ষ সেনাপতি এবং আত্মবিশ্বাস ও দুর্দমনীয় আকাঙ্ক্ষায় ভরপুর। এই সমস্ত গুণাবলী তাঁহার সাম্রাজ্য বিস্তারে সহায়ক হইয়াছিল ।
শাসক হিসাবে ব্যর্থতা
কিন্তু শাসক হিসাবে তিনি বিশেষ কোন গুণের পরিচয় দিতে সক্ষম হন নাই । আভ্যন্তরীণ শাসনব্যবস্থা উন্নত করিবার জন্য তিনি নূতন কোন আইনকাহন প্রবর্তন বা ব্যবস্থা অবলম্বন করেন নাই। পুরাতন সুলতানি শাসনব্যবস্থাই চালু রাখিয়াছিলেন।
জায়গীরদার ব্যবস্থা পূর্বের মতই রহিয়া গেল এবং কেন্দ্রীয় শাসনকে শক্তিশালী করার জন্যও বিশেষ কোন ব্যবস্থা অবলম্বিত হইল না। পরন্তু তাঁহার অমিতব্যয়িতা ও আভ্যন্তরীণ অব্যবস্থার ফলে রাজকোষের অবস্থাও খারাপ হইয়া পড়িয়াছিল। পরবর্তী সম্রাট হুমায়ুনকে এই সকল ঘটনার জন্য যথেষ্ট মূল্য দিতে হইয়াছে ।
বাবরের গুণাবলী
কিন্তু একথা স্বীকার করিতে হইবে যে বাবর মধ্যযুগীয় উল্লেখযোগ্য সম্রাটগণের অন্যতম ছিলেন। তাঁহার মধ্যে চিঙ্গিজ খাঁ বা তৈমুরের নৃশংসতা, লুণ্ঠন বা ধ্বংস সাধন কোন কিছুই পরিলক্ষিত হয় নাই।
তিনি গোঁড়া সুন্নী মুসলমান ছিলেন, কিন্তু ধর্মান্ধ ছিলেন না। বিদ্যানুরাগ, সঙ্গীতানুরাগ, আশ্রিতের প্রতি অনুকম্পা প্রভৃতি তাঁহার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য ছিল।
বাবরের সাহিত্যানুরাগ
তাঁহার সাহিত্যানুরাগ ছিল গভীর; তুর্কী ও ফার্সী ভাষায় তাঁহার বেশ দখল ছিল। ফার্সী ভাষায় তিনি নিজেই বহু কবিতা রচনা করিয়াছিলেন। তাঁহার রচিত জীবনস্মৃতি (Memories) একখানি অমূল্য গ্রন্থ।
তাঁহার বিভিন্ন প্রতিভা লক্ষ্য করিয়াই ঐতিহাসিকগণ তাঁহাকে ভারতের উল্লেখযোগ্য সম্রাটগণের অন্যতম বলিয়া অভিহিত করিয়া গিয়াছেন। “Babar was a most brilliant Asiatic Prince of his age and worthy of a high place among the sovereigns of India.”-Smith.
বাবরের ভারত আক্রমণের কারণ কি ছিল?
বাবরের ভারত আক্রমণের নানান কারণ থাকলেও মূলত দৌলত খানকে বেশি দায়ি করা হয়। কারণ দৌলত খান ছিল ইব্রাহিম লোধির প্রতি অসন্তুষ্ট তাই তিনি পাঞ্জাবের শক্তিশালী অভিজাত হিসাবে বাবরকে ভারত আক্রমণের জন্য আহ্বান জানান। 1526 সালের 21শে এপ্রিল উচ্চাকাঙ্খী বাবর -এর সঙ্গে সুলতান সাম্রাজ্যের শেষ শাসক ইব্রাহিম লোদির পানিপথের প্রথম যুদ্ধে মুখোমুখি হয়। বাবরের দক্ষ যুদ্ধ কৌশল এবং প্রথম কামানের ব্যবহারের কাছে ইব্রাহিম লোদির বেশি সৈন্য থাকার সত্ত্বেও বাবরের কাছে পরাজিত হতে হয়। এর ফলে সুলতান সাম্রাজ্যের পতন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠান হয়।
উপসংহার
উপরে আলোচ্য বাবরের কৃতিত্ব আলোচনা কর প্রশ্নের উত্তর ব্যাখ্যা করে আমরা বলতে পারি যে মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে বাবরের কৃতিত্ব ছিল তাৎপর্যপূর্ণ এবং সুদূরপ্রসারী। তিনি তার সামরিক বিজয় এবং কৌশলগত নেতৃত্বের মাধ্যমে উত্তর ভারতে একটি শক্তিশালী সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠান করতে সফল হয়ে ছিলেন। তার বিজয় ও প্রশাসনিক সংস্কার এবং সাংস্কৃতিকভাবে সমৃদ্ধ করে মুঘল সাম্রাজ্যের যে ভিত্তি স্থাপন করেছিল তা কয়েক শতাব্দী ধরে স্থায়িত্ব লাভ করতে সাহায্য করেছিল।
FAQs
প্রশ্ন: বাবর কি মুঘল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন?
উত্তর: বাবর 1526 সালে মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠান করেন।
প্রশ্ন: বাবরের স্ত্রীর নাম কি?
উত্তর: বাবরের স্ত্রীর নাম মাহম বেগম।
প্রশ্ন: বাবরের মাতার নাম কি?
উত্তর: মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা বাবরের মায়ের নাম কুতলুগ নিগার খানম।
প্রশ্ন: বাবরের প্রকৃত নাম কি?
উত্তর: বাবরের প্রকৃত নাম ছিল জহির উদ্দিন মোহাম্মদ।
প্রশ্ন: বাবরের দাদুর নাম কি?
উত্তর: আবু সাঈদ মির্জা ছিলেন বাবরের দাদু।
প্রশ্ন: বাবরের আত্মজীবনী কোন ভাষায় লেখা?
উত্তর: বাবর তার আত্মজীবনী “তুজক-ই-বাবরি” চাগাতাই তুর্কি ভাষায় লেখেন, যা পরবর্তীকালে আবদুল রহিম খান এটিকে ফার্সি ভাষায় অনুবাদ করেন।