এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা জানার চেষ্টা করবো মহম্মদ বিন তুঘলক কে পাগলা রাজা বলা হয় কেন? পিতা গিয়াস-উদ-দিন তুঘলকের পর শাসক হিসাবে মোহাম্মদ বিন তুঘলক 1325 থেকে 1351 খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত উত্তরাঞ্চল থেকে দাক্ষিণাত্য শাসন করেন। তিনি ছিলেন ভারতের সবথেকে বেশি বিতর্কিত শাসকের মধ্যে অন্যতম।
দিল্লির সুলতানদের মধ্যে তিনি একমাত্র শাসক ছিলেন যিনি সাহিত্য, দার্শনিক ও ধর্মীয় শিক্ষা লাভ করেছিলেন। তার জন কল্যাণকর পরিকল্পনার একটিও সফল না হবার কারণে তাকে ইতিহাসে জ্ঞানী বোকা রাজা হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়। চলুন নিচে জানা যাক মহম্মদ বিন তুঘলক কে পাগলা রাজা বলা হয় কেন?
মহম্মদ বিন তুঘলক কে পাগলা রাজা বলা হয় কেন?
ক্রমিক সংখ্যা | “পাগল রাজা” বলার কারণ |
1. | দিল্লি থেকে রাজধানীকে দৌলতাবাদে স্থানান্তরিত এবং পরে আবার দিল্লিতে রাজধানী ফিরিয়ে আনা। |
2. | তামার মুদ্রার প্রচলন এবং আবার তামার মুদ্রার নকলের কারণে সোনার মুদ্রা দিয়ে তামার মুদ্রাকে তুলে নেওয়া। |
3. | আবেগপ্রবণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে খুরাসান জয় করার জন্য একটি বিশাল সেনাবাহিনী পাঠান, যার ফলে প্রচুর ক্ষয় ক্ষতি হয়। |
4. | দাক্ষিণাত্য অঞ্চল জয়ের ব্যর্থ প্রচেষ্টা। |
5. | কঠোর এবং অনিয়মিত কর নীতি যা জনগণকে অতিষ্ট করে তোলে। |
6. | যথাযথ কারণ বা বিচার ছাড়াই অভিজাত ও তার প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শাস্তি দেওয়া। |
7. | সঠিক পরিকল্পনা ছাড়া সম্পদের অপব্যবহার যা কোষাগারকে অনেকটা খালি করে দেয়। |
8. | কৃষকদের উপর ভারী করের বোঝা চাপানো হয়। |
9. | ভিন্ন মতের বিরুদ্ধে দমনমূলক শাস্তির ব্যবস্থা যেমন সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত এবং নিপীড়ন। |
ঐতিহাসিকগণের মধ্যে মতভেদ ‘উন্মাদ ও রক্তপিপাহ’
ভারতের মধ্যযুগীয় বিখ্যাত সুলতানগনের মধ্যে মোহাম্মদ বিন্-তুঘলক ছিলেন অন্যতম। কিন্তু তাঁহার চরিত্র সম্পর্কে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে যথেষ্ট মতানৈক্য রহিয়াছে; এলফিনস্টোন, স্মিথ, হ্যাভেল, এডওয়ার্ড টমাস প্রমুখ ইংরেজ ঐতিহাসিকগণ তাঁহাকে অনেকক্ষেত্রে ‘উন্মাদ ও বিকৃত মস্তিষ্ক, বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন।
“Yet the whole of these splendid and accomplishments were given to him in vain; they were accompanied by a perversion of judgement which after every allowance for the intoxication of absolute power, leaves us in doubt whether he was not affected by some degree of insanity.” – Elphinstone.
শ্রেষ্ঠ সুলতানদের অন্ততম
তাঁহারা অনেকেই সুলতানকে ‘রক্ত-পিপান্থ’ বলিয়াও প্রতিপন্ন করিয়াছেন । পক্ষান্তরে গার্ডনার ব্রাউন, ঈশ্বরী প্রসাদ প্রমুখ ঐতিহাসিকগণ মহম্মদের বিরুদ্ধে রক্তলোলুপতা ও বিকৃত মস্তিষ্কের অভিযোগ অযৌক্তিক বলিয়া মনে করিয়াছেন। এমন কি তাঁহারা মহম্মদ বিন-তুঘলককে মধ্যযুগের শ্রেষ্ঠ সুলতান বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন।
“Mahammad Tughluq was unquestionably the ablest man among the crowned heads of the Middle Ages.”-Ishwari Prasad (History of Mediaeval India)
প্রকৃতির বিস্ময়কর সৃষ্টি ঐতিহাসিক বারণি
কেবলমাত্র এ যুগের ঐতিহাসিকগণই নয়, সমসাময়িক ঐতিহাসিকগণের মধ্যেও যথেষ্ট মতভেদ পরিলক্ষিত হয়। জিয়াউদ্দিন বারণি তাঁহাকে প্রকৃতির এক বিস্ময়কর সৃষ্টি বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন এবং রক্ত- পিপাসু ও নিষ্ঠুর বলিয়া অভিযুক্ত করিয়াছেন।
ইবন বতুতা ‘দয়ার সাগর ও রক্তপিপাসু’
আফ্রিকা হইতে আগত পর্যটক ইবন বতুতা কয়েক বৎসর সুলতানের রাজ্যে অবস্থান করিয়াছিলেন। তিনি সুলতানের ব্যক্তিগত চরিত্র বর্ণনা করিতে যাইয়া বলিয়াছেন যে তিনি একাধারে ‘দয়ার সাগর ও রক্ত- পিপাসু’ ছিলেন।
“This king is of all men the one who most loves to dispense gifts and to shed blood. His gateway is never free from a begger whom he has relieved and a corpse which he has slain.”-Iban Batuta.
সঙ্গে সঙ্গে ইবন বতুতা হুলতানকে বিনয়ী, সত্যনিষ্ঠ ও উদার প্রকৃতির নরপতি বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। ঐতিহাসিকগণের মধ্যে এত অনৈক্যের মূল কারণ হইতেছে যে হলতানের চরিত্রে কতকগুলি পরস্পর বিরোধী গুণের সংমিশ্রন ঘটিয়াছিল (mixture of opposites”) ।
মানসিক উৎকর্ষতা ও বহুমুখী প্রতিভা
বিদ্যা, মানসিক উৎকর্ষতা ও প্রতিতার দিক দিয়া বিচার করিলে মহম্মদকে মধ্যযুগীয় হুলতানগণের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সুলতান বলিয়া স্বীকার করিতে হয়। তিনি ছিলেন একাধারে দার্শনিক, বৈজ্ঞানিক, মানসিক উৎকৰ্ষতা ও কবি ও গণিতশাস্ত্রবিদ।
ধর্মশাস্ত্র, তর্কশাস্ত্র, জ্যোতির্বিদ্যা, ভাষাতত্ব প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয়ে তাঁহার বহুমুখী প্রতিভার পরিচয় পাওয়া যায়। জিয়াউদ্দিন বারণির ন্যায় যাহারা স্থলতানের তীব্র সমালোচনা করিয়াছেন তাহারাও তাঁহার বহুমুখী পাণ্ডিত্যের প্রশংসা করিয়াছেন।
দান দক্ষিণায় মুক্তহস্ত, ধর্ম নিষ্ঠাবান ও উদার
দান দক্ষিণায়ও তিনি ছিলেন মুক্ত- হস্ত। বারণি ও ইবন বতুতা উভয়েই তাঁহার দানশীলতার ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন। ব্যক্তিগতভাবে তিনি নিজে ছিলেন নিষ্ঠাবান মুসলমান।
কিন্তু অন্যান্য ধর্ম সম্বন্ধে তিনি ছিলেন উদার। বিশেষ করিয়া রাষ্ট্রশাসন ব্যাপারে তিনি কোন একটি ধর্মের একাধিপত্য পছন্দ করিতেন না। এই কারণেই তাঁহাকে গোঁড়া উলেমা ও কাজীদের বিরাগভাজন হইতে হইয়াছিল ।
আদর্শবাদীতা পরিকল্পনার মৌলিক ও দুঃসাহসিকতা বাস্তবজ্ঞানহীনতা
তিনি ছিলেন আদর্শবাদী। তাঁহার পরিকল্পনাগুলির মধ্য দিয়া তাঁহার মৌলিকত্ব ও দুঃসাহসিকতার পরিচয় পাওয়া যায়। এই দিক দিয়াও তিনি ছিলেন পৃথিবীর বহু রাজার উর্ধ্বে ।
কিন্তু বহুগুণের আধার হওয়া সত্ত্বেও তাঁহার চরিত্রের কয়েকটি দুর্বলতা ও ত্রুটি তাহার জীবনে ব্যর্থতা টানিয়া আনিয়াছিল। বাস্তব জগৎ সম্পর্কে তিনি ছিলেন অনভিজ্ঞ এবং তাঁহার আদর্শবাদ অনেকক্ষেত্রেই ছিল বাস্তব অবস্থার সহিত সম্পর্কহীন।
মুহাম্মদ বিন তুঘলকের ৫টি পরিকল্পনা
ক্রমিক সংখ্যা | কারণ | সাল |
1. | রাজধানী স্থানান্তর | 1327 খিষ্টাব্দে |
2. | তামার মুদ্রার প্রচলন | 1330 খিষ্টাব্দে |
3. | ব্যর্থ সামরিক অভিযান | 1338 খিষ্টাব্দে |
দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তরের প্রশ্ন
দেবগিরিতে রাজধানী পরিবর্তনের প্রচেষ্টার মধ্যে তাঁহার অনভিজ্ঞতা ধরা পড়ে। যেখানে কেবলমাত্র সরকারী দপ্তর স্থানান্তর করিলেই চলিত, সেক্ষেত্রে তিনি দিল্লীর সমগ্র অধিবাসীকে স্থানান্তরের আদেশ দিলেন। ফলে একদিকে যেমন মোঙ্গল আক্রমণের পথ পরিষ্কার করা হইল, অপরদিকে অর্থ অপব্যয়ের ও জনসাধারণের দুঃখ-কষ্টের সীমা রহিল না।
তামার নোট প্রচলনে ত্রুটি
তামার নোট প্রচলনের প্রচেষ্টা অর্থনীতি সম্মত ছিল সন্দেহ নাই, কিন্তু এইরূপ নোট প্রচলন করিতে হইলে বাস্তব ক্ষেত্রে যে সমস্ত ব্যবস্থাদি গ্রহণ করা প্রয়োজন তাহা তিনি করেন নাই; ফলে জাল নোটে দেশ ভরিয়া যায়। পরে স্বর্ণমুদ্রা দিয়া ঐ তামার নোট উঠাইয়া লইতে রাজকোষ প্রায় শূন্য হইয়া গেল ।
অস্থির চিত্ততা প্রকাশ জনসাধারণের সমর্থনের প্রশ্ন
সেই জন্য অনেকে মনে করেন যে ইহা একটি দুঃসাহসিক পরিকল্পনা ছিল, এবং মোটেই যুগোপযোগী ছিল না। এই সমস্তর মধ্য দিয়া তাঁহার অস্থির চিত্ততা প্রকাশ হইয়া পড়ে।
অসন্তুষ্ট উলেমাদিগের সুযোগ
কোন ক্ষেত্রেই সুপরিকল্পিত ভাবে এবং ধৈর্য সহকারে তিনি জনসাধারণের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করেন নাই । সেই জন্যই তাঁহার সর্বোৎকৃষ্ট ব্যবস্থাগুলি, যেমন ন্যায় ও সততার ভিত্তিতে বিচার ব্যবস্থাকে প্রতিষ্ঠিত করা, ধর্ম-নিরপেক্ষভাবে শাসনকার্য পরিচালনা করা, সকল ধর্মের প্রতি সমভাবে উদারতা প্রদর্শন করা—এ সমস্তই অনেকের মধ্যে ভ্রান্তধারণার সৃষ্টি করিতে পারিয়াছিল। অসন্তুষ্ট উলেমারা তাহারই সুযোগ গ্রহণ করিয়া ছিল মাত্র।
দিগ্বিজয়ের পরিকল্পনা গুলিতে অদূরদর্শিতা
তাঁহার দিগ্বিজয় পরিকল্পনাগুলি কার্যকরী করিতে যাইয়াও তিনি অবাস্তবতা ও অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়াছেন। দেশের আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলির সমাধান না করিয়া, বৈদেশিক শক্তির সাহায্যের উপর ভরসা করিয়া খোরাসান জয়ের প্রস্তুতি আরম্ভ করা মোটেই যুক্তিযুক্ত হয় নাই। পার্বত্য অঞ্চলে যুদ্ধ করিতে অনভ্যস্ত এক বিরাট বাহিনীকে কুর্মাচলে প্রেরণ করা মোটেই সমীচীন হয় নাই।
🔥আরও পড়ুনঃ-
বিভিন্ন ক্ষেত্রের ব্যর্থতার ফলাফল
মোঙ্গল আক্রমণের মুখে উত্তর-পশ্চিম সীমান্তকে সুরক্ষিত না রাখার ফলেই মোঙ্গল নেতা তরমাশিরীণ উত্তর-পশ্চিমের প্রদেশগুলিকে বিধ্বস্ত করিতে পারিয়াছিল; এ ক্ষেত্রেও তিনি রাজনৈতিক অদূরদর্শিতার পরিচয় দিয়াছেন।
এই সমস্ত ক্ষেত্রে ব্যর্থতার ফলে স্থলতানের মর্যাদা হ্রাস পাইয়াছিল, রাজকোষ শূন্য প্রায় হইয়াছিল এবং শাসন দক্ষতাও বিনষ্ট হইয়াছিল। ফলে প্রভাবশালী আমীর, উচ্চপদস্থ রাজকর্মচারী ও শাসনকর্তাগণ বিদ্রোহী হইতে সাহসী হইয়াছিল এবং সাম্রাজ্যের ভাঙ্গন দ্রুত করিয়া তুলিয়াছিল ।
বহুমুখী প্রতিভা কিন্তু শাসক হিসাবে ব্যর্থতা
সুতরাং প্রজাবর্গের প্রকৃত হিতসাধন, দেশে একটি সুষ্ঠু ও সুশৃঙ্খল শাসন- ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা সাম্রাজ্যকে সুদৃঢ় ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি সমস্ত ব্যাপারেই মহম্মদ তুঘলকের প্রচেষ্টা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হইয়াছিল।
তিনি শিক্ষা, সংস্কৃতি, উচ্চ আদর্শ ও বহুমুখী প্রতিভা সম্পন্ন হইয়াও সাম্রাজ্য ধ্বংসের কারণস্বরূপ হইয়াছিলেন; তাঁহার বাস্তবজ্ঞানের অভাব, রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা, যুগধর্মের অগ্রবর্তী আদর্শবাদিতা, শাসনব্যাপারে অনভিজ্ঞত’, অস্থিরচিত্ততা ও ধৈর্যের অভাব এই সমস্তই তাঁহার ব্যর্থতার কারণ ।
অল্পতেই ক্রোধান্ধ কঠোর শাস্তিবিধান
অনেক ইংরেজ ঐতিহাসিক এবং গোঁড়া মুসলমান ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারণি তাঁহাকে ‘রক্ত-পিপাসু’ বলিয়া প্রতিপন্ন করিতে চেষ্টা করিয়াছেন।
কথা সত্য যে কোন ক্ষেত্রে বাধাপ্রাপ্ত হইলে বা ব্যর্থ হইলে তিনি ক্রোধান্ধ হইয়া উঠিতেন; সে সময়ে তিনি অপরাধের তারতম্য করিতে পারিতেন না, সামান্য অপরাধে কঠোর শাস্তিবিধান করিতেন। কিন্তু ইহা তাঁহার চরিত্রের প্রধান বৈশিষ্ট্য বলা যায় না।
‘খামখেয়ালী’ চরিত্রের ত্রুটি
তাঁহার বিরুদ্ধে আর একটি গুরুতর অভিযোগ হইল যে তিনি কিছুটা খামখেয়ালী ছিলেন। নূতন কিছু পরিকল্পনা গ্রহণ করিবার জন্য তিনি সর্বসময় আগ্রহশীল হইয়া উঠিতেন। কিন্তু এ কথা অস্বীকার করা যায় না যে তাঁহার পরিকল্পনাগুলির মধ্য দিয়া তাঁহার প্রতিভা ও মৌলিকত্বের পরিচয় পাওয়া যায়।
ব্যর্থতার কারণ
বাস্তবজ্ঞানের ও ধৈর্যের অভাব সেগুলি ব্যর্থ হওয়ার জন্য প্রধানতঃ দায়ী। অনেক ক্ষেত্রেই অস্থিরচিত্ততা, অদূর- দর্শিতা ও বিচক্ষণতার অভাব সেগুলিকে নিষ্ফল করিয়া দিয়াছিল। অনেকে তাঁহার মধ্যে তাই কতকগুলি বিরোধীভাবের সংমিশ্রণ দেখিয়াছেন (‘amazing compound of contradictions’)।
কিন্তু এ সমস্ত সত্ত্বেও তিনি ভারত ইতিহাসে একজন প্রগতির পথ প্রদর্শক ছিলেন। “The most humble of men and one who is most inclined towards doing what is right and just and the most prominent of his qualities is generousity.”- Iban Batuta.
উপসংহার
উপরে আলোচনার মাধ্যমে মহম্মদ বিন তুঘলক কে পাগলা রাজা বলা হয় কেন? এই প্রশ্নের উত্তর আশাকরি আপনাদের কাছে পরিষ্কার হয়েছে।
মহম্মদ বিন তুঘলকের দিল্লি থেকে দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তর এবং সমস্যার কারণে আবার দেবগিরি থেকে দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তর, যেটি ছিল তার পরিকল্পনা গুলির মধ্যে সবথেকে ব্যর্থ পরিকল্পনা, এর জন্য অনেক মানুষের প্রাণহানি হয়।
এছাড়া তার ব্যর্থ পরিকল্পনা গুলির মধ্যে ছিল তামার মুদ্রার প্রচলন, এবং বিরোধীদের কঠোর শাস্তি প্রদান, যা তার রাজ্যবাসীকে অতিষ্ট করে তুলেছিল।
FAQs
প্রশ্ন: কেন মুহাম্মদ বিন তুঘলক দিল্লি থেকে দৌলতাবাদ এবং পুনরায় দিল্লিতে তার রাজধানী পরিবর্তন করেন?
উত্তর: দৌলতাবাদ থেকে পুনরায় দিল্লিতে রাজধানী স্থানান্তরের সবচেয়ে বড় কারণ ছিল দৌলতাবাদে জল সরবরাহের সমস্যা।
প্রশ্ন: মুহাম্মদ বিন তুঘলকের প্রবর্তিত কয়েকটি সংস্কারের নাম?
উত্তর: মুহাম্মদ বিন তুঘলকের প্রবর্তিত কয়েকটি সংস্কার হল দিল্লি থেকে দেবগিরিতে রাজধানী স্থানান্তর, তামার নোট প্রচলন, ইত্যাদি।
প্রশ্ন: মহম্মদ বিন তুঘলক কে পাগলা রাজা বলেছেন?
উত্তর: মুহাম্মদ বিন তুঘলক 1325 থেকে 1351 সাল পর্যন্ত শাসন কালে তার হতবুদ্ধির জন্য একাধিক পরিকল্পানা বাস্তবায়িত হয়নি যে কারণে ইবন বতুতা তার হঠকারিতার সিদ্ধান্তের সমোলোচন করেন। এখনকার অনেক ঐতিহাসিক তাকে “পাগল রাজা” বলে আখ্যায়িত করেছে।
প্রশ্ন: মহম্মদ বিন তুঘলক কেন তামার মুদ্রা প্রচলন করেছিলেন?
উত্তর: মুহাম্মদ বিন তুঘলক অর্থনৈতিক সংস্কারে উদ্দেশ্যে তামার মুদ্রা প্রবর্তন করেন। যাতে অতি সাধারণ মানুষ মুদ্রার মাধ্যমে লেনদেন করতে পারে।