ইতিহাসে সবথেকে বেশি চর্চিত মুঘল সম্রাট ঔরঙ্গজেব ছিলেন শাহজাহানের পুত্র। ঔরঙ্গজেবের চরিত্র ও কৃতিত্ব বিচার করিতে যাইয়া ঐতিহাসিকগণ সব সময়েই একমত হইতে পারেন নাই। তাঁহার চরিত্রের জটিলতা ইহার অন্যতম কারণ।
তাহাছাড়া, যে পন্থায় তিনি সিংহাসন লাভ করিয়াছিলেন তাহা অনেক ক্ষেত্রে নিরপেক্ষ বিচারের পথে বাধা সৃষ্টি করিয়াছে। কিন্তু বর্তমান ঐতিহাসিকগণ তাঁহার দোষগুণের একটি নিরপেক্ষ বিচারের জন্য সচেষ্ট হইয়াছেন।
ইউরোপীয় পর্যটকগণের অভিমত
ইউরোপীয় পর্যটক ও ঐতিহাসিকগণের মধ্যে অনেকে ঔরঙ্গজেবের চারিত্রিক গুণাবলীর ভূয়সী প্রশংসা করিয়াছেন।
বার্নিয়ার (Bernier) তাঁহাকে প্রতিভাবান, সুচতুর কুটনীতিজ্ঞ এবং শ্রেষ্ঠ নরপতি বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন।
রবার্ট উর্মিও (Robert Orme) তাঁহাকে ভারতের সর্বাপেক্ষা সুদক্ষ সম্রাট বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন।
হ্যামিল্টন (Hamilton) তাঁহাকে রাজোচিত গুণাবলীর অধিকারী, ধর্মভীরু ও নিরপেক্ষ বিচারক বলিয়া প্রশংসা করিয়াছিলেন।
ঐতিহাসিক কীনও (Keen) তাঁহাকে প্রাচ্যের সর্বশ্রেষ্ঠ সম্রাট বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন।
“The abilities of Shahjahan’s son and successor, Alamgir, rendered him the most famous member of his famous house. Intrepid and enterprising as he was in war, his political sagacity and statecraft were equally unparalled in Eastern annals.”-Keen,
🔥আরও পড়ুনঃ-
নৈতিক জীবনের উচ্চ আদর্শ
একথা সত্য যে অনেক দিক দিয়া ঔরঙ্গজেব ছিলেন আদর্শবাদী পুরুষ । তাঁহার আচার-ব্যবহার ছিল অনাড়ম্বর, বিলাস-ব্যসন ও আমোদ-প্রমোদ হইতে তিনি ছিলেন সম্পূর্ণ মুক্ত। তাঁহার নৈতিক জীবনের আদর্শ ছিল খুবই উন্নত।
বিদ্বান ও বিদ্যোৎসাহী
তিনি ছিলেন বিদ্বান ও বিদ্যোৎসাহী। ফার্সী সাহিত্য, আরবীয় আইন-কানুন, নীতিশাস্ত্র প্রভৃতি সম্পর্কে তাঁহার অসাধারণ পারদর্শিতা ছিল। তিনি হিন্দী ও তুর্কী ভাষায় অনর্গল কথা বলিতে পারিতেন। কোরাণ তাঁহার কণ্ঠস্থ ছিল।
ফতোয়া-ই-আলমগীরি
মুসলমান আমলের সর্ববৃহৎ আইন গ্রন্থ সঙ্কলন ‘ফতোয়া-ই-আলমগীরি’ তাঁহারই পৃষ্ঠপোষকতায় রচিত হইয়াছিল। কিন্তু শিল্প, সঙ্গীত ও নৃত্যে তাঁহার বিরাগ ছিল ইহা সুবিদিত ৷
অক্লান্ত পরিশ্রমী কর্মনিষ্ঠা ও দায়িত্বজ্ঞান
তিনি ছিলেন অক্লান্ত পরিশ্রমী; সকল ব্যবস্থা তিনি নিজে তত্ত্বাবধান করিতেন, শাসনকার্যের খুঁটিনাটিও তাঁহার দৃষ্টি এড়াইত না। তাঁহার সমসাময়িক ফরাসীরাজ চতুর্দশ লুইয়ের মত তিনিও ছিলেন নিজ ক্ষমতায় সম্পূর্ণ বিশ্বাসী এবং নিজেই নিজের প্রধান মন্ত্রী। গেমেলি ক্যারেরী নামক ইতালীয় পর্যটক ঔরঙ্গজেবের কর্মনিষ্ঠা ও দায়িত্বজ্ঞানের যথেষ্ট প্রশংসা করিয়া গিয়াছেন।
সুদক্ষ সমরনায়ক ক্ষমতাবান শাসক
তিনি ছিলেন সুদক্ষ সমরনায়ক; যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট সাহস ও ধৈর্যের পরিচয় দিয়াছেন। ক্ষমতাবান শাসক হিসাবেও তিনি খ্যাতি অর্জন করিয়াছেন । শাসন ব্যাপারে তাঁহার মৌলিকতার পরিচয় পাওয়া যায় দাক্ষিণাত্যে সংস্কার সাধনের প্রচেষ্টার মধ্যে।
উচ্চ রাজ আদর্শ অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্রাট
রাজার কর্তব্য সম্বন্ধেও তাঁহার ধারণা ছিল অতি উচ্চ। তিনি মনে করিতেন ঈশ্বর তাঁহাকে পরের মঙ্গল সাধনের জন্যই ধরাধামে প্রেরণ করিয়াছেন। “I was sent into the world by providence to live and labour not for myself but for others.”-Aurangzeb,
এই সকল কারণে বিশাল সাম্রাজ্যের অধীশ্বর ঔরঙ্গজেব মোগল রাজবংশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্রাট বলিয়া অভিহিত হইয়া থাকেন ।
ঔরঙ্গজেবের ব্যর্থতা (His failure):
কিন্তু বহুগুণের আধার হইলেও ঔরঙ্গজেব শাসক হিসাবে সাফল্যলাভ করিতে সমর্থ হন নাই। “……when Aurangzeb is judged as sovereign, he must be pronounced a failure.”-Dr. Smith.
পরধর্মে অসহিষ্ণুতা সন্দিগ্ধচিত্ততা
যে কয়েকটি কারণে এই ব্যর্থতা দেখা দিয়াছিল তার মধ্যে পরধর্ম সম্বে অসহিষ্ণুতা এবং সকলের সম্বন্ধেই সন্দিগ্ধচিত্ততা বিশেষ- ভাবে উল্লেখযোগ্য। ধর্মবিষয়ে তিনি ছিলেন অত্যন্ত গোঁড়া ও সংকীর্ণমনা।
তিনি যে কেবলমাত্র ইসলামধর্মে বিশ্বাসী ছিলেন তাহা নহে; তিনি ইসলামধর্মকে একমাত্র শ্রেষ্ঠ ধর্ম বলিয়া মনে করিতেন এবং অপর সকলকে এই ধর্ম গ্রহণ করাইবার জন্য আগ্রহশীল হইয়া উঠিয়াছিলেন।
অন্য ধর্মাবলীদের নিপীড়ন (বিভিন্ন জাতির সমর্থন হইতে বঞ্চিত)
তাঁহার এই আগ্রহ অনেকক্ষেত্রে নিপীড়নের স্তরে পৌছিয়াছিল। ফলে তিনি অমুসলমানদের আনুগত্য হারাইয়াছিলেন। কোন মুসলমান রাষ্ট্রের পক্ষে তিনি হয়ত আদর্শ নরপতি হইতে পারিতেন; কিন্তু ভারতের মত বিভিন্ন জাতি ও ধর্ম-সম্প্রদায় অধ্যুষিত দেশে তিনি নিপীড়ক হিসাবে দেখা দিলেন ।
তাঁহার অনুদার নীতি এবং ধর্মান্ধতার ফলে তিনি হিন্দু তথা রাজপুতদের সমর্থন ও সহযোগিতা হারাইয়াছিলেন, মারাঠাগণকে প্রধান শত্রুতে পরিণত করিয়াছিলেন, এমনকি শিয়া সম্প্রদায়েরও আনুগত্য হারাইয়াছিলেন ।
রাজনৈতিক দূরদৃষ্টির অভাব
তাঁহার ধর্মান্ধতা তাঁহার রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিকেও আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল । ভারতের মত বিশাল দেশে জাতি-ধর্মনির্বিশেষে সকলের সমর্থনের ভিত্তিতেই যে সাম্রাজ্য স্থায়িত্বলাভ করিতে পারে এ কথা বুঝিবার মত রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি তাঁহার ছিল না। ফলে তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন দিকে শত্রু সৃষ্টি করিয়া সাম্রাজ্যের ধ্বংসের পথ প্রশস্ত করিয়া দিয়াছিলেন ।
সন্দিগ্ধচিত্ততা, শাসনক্ষমতা অতিমাত্রায় কেন্দ্রীভূত
কেবলমাত্র ধর্মান্ধতা নয়, সন্দিগ্ধচিত্ততাও তাঁহার ব্যর্থতার অন্যতম কারণ । তিনি কাহাকেও বিশ্বাস করিতে পারিতেন না, কখনও কাহারও উপর আস্থা স্থাপন করিতে পারিতেন না। ফলে রাষ্ট্রের যাবতীয় ক্ষমতা তিনি নিজ হস্তে কেন্দ্রীভূত করিয়া লইয়াছিলেন, শাসন ব্যাপারে ও প্রতি খুঁটিনাটি ব্যাপারে তিনি হস্তক্ষেপ করিতেন।
রাজকর্মচারীদের উদ্যোগ-উদ্যম বিনষ্ট
চাতুরী ও প্রবঞ্চনার আশ্রয় লইয়া তিনি রাজকর্মচারীগণের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির প্রয়াস পাইতেন। ইহার অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপ রাজকর্মচারীগণ সম্রাটের উপর অতি মাত্রায় নির্ভরশীল হইয়া উঠে, তাহাদের স্বাভাবিক উদ্যোগ ও উদ্যম বিনষ্ট হইয়া যায়। সুতরাং শাসনব্যবস্থায় ও নানারূপ শিথিলতা দেখা দিতে আরম্ভ করে ।
সাম্রাজ্য ধ্বংস উরঙ্গজেবের দায়িত্ব
এ কথা সত্য যে ঔরঙ্গজেবের সময়েই মোগল সাম্রাজ্য সবচেয়ে বেশি বিস্তৃত হইয়াছিল; কিন্তু তাঁহারই সময়ে মোগল সাম্রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ধ্বংসের বীজও রোপিত হইয়াছিল। তিনি দীর্ঘকাল রাজধানী হইতে অনুপস্থিত থাকিয়া উত্তর ভারতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিতে সাহায্য করিয়াছিলেন।
তাঁহার সৈন্যবাহিনীকে দীর্ঘকাল যুদ্ধ- বিগ্রহে লিপ্ত রাখিয়া তিনি তাঁহার সামরিক দক্ষতা নষ্ট করিয়া ফেলিয়াছিলেন। এই একই কারণে তাঁহার রাজকোষও প্রায় শূন্য হইয়া গিয়াছিল ।
দাক্ষিণাত্য নীতির ফলাফল (দাক্ষিণাত্যের ক্ষত)
তাঁহার সঙ্কীর্ণ ভ্রান্ত নীতির ফলেই তিনি শিবাজীকে এবং মারাঠাগণকে তাঁহার নির্মম শত্রুতে পরিণত করিয়াছিলেন। এইরূপভাবে তিনি ‘দাক্ষিণাত্যের ক্ষত’ (Deccan Ulcer) নিজেই সৃষ্টি করিয়াছিলেন।
এই ‘দাক্ষিণাত্যের ক্ষতই’ শেষ পর্যন্ত মোগল শক্তিকে দুর্বল করিয়া ফেলিয়াছিল। সুতরাং ঔরঙ্গজেব মোগল সাম্রাজ্যকে আরও বিস্তৃত করিতে সক্ষম হইলেও তিনি উহার ধ্বংসের পথও প্রস্তুত করিয়া দিয়াছিলেন।
সাম্রাজ্যের ভিত্তি দুর্বল
তাঁহার ধর্মান্ধতা, সন্ধিন্ধচিত্ততা এবং রাজনৈতিক অদূরদর্শিতাই মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি দুর্বল করিয়া ফেলিয়াছিল। যদিও একথা সত্য যে তিনিই মোগল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য একমাত্র দায়ী নহেন, তবুও তিনি সেই পতনের পথ অনেকখানি প্রশস্ত করিয়া দিয়াছিলেন।
“Though it is not true that he alone caused the fall of the Mughal Empire yet he did nothing to avert it, but deliberately quickened the destructive forces always present in rigid theocratic form of Government, because he was a reactionary by instinct and no reforming statesman.”- Manucci.
আকবর ও ঔরঙ্গজেব (Akbar and Aurangzeb):
আকবর মোগল সাম্রাজ্যের প্রকৃত প্রতিষ্ঠাতা
আকবর ছিলেন মোগল সাম্রাজ্যের সত্যিকারের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি যখন দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণ করেন তখন মোগল আধিপত্য দিল্লী, আগ্রা এবং চতুষ্পার্শ্বস্থ জেলাসমূহের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল।
তাঁহার দীর্ঘ রাজত্বকালের অবসরে তিনি তাঁহার সামরিক প্রতিভার পরিচয় দিয়া সেই ক্ষুদ্র পরিসর রাজ্যকে এক বিশাল সাম্রাজ্যে পরিণত করিয়াছিলেন। নূতন সাম্রাজ্য গঠনের কৃতিত্ব হইতেছে আকবরের।
ঔরঙ্গজেব কর্তৃক সাম্রাজ্য বিস্তৃত
ঔরঙ্গজেব সেই সাম্রাজ্যকে বিস্তৃত করিয়াছিলেন মাত্র; অবশ্য সামরিক প্রতিভার ক্ষেত্রে তিনিও যথেষ্ট কৃতিত্বের পরিচয় দিয়াছেন। শের শাহের পথ অনুসরণ করিলেও আকবর সাম্রাজ্যের শাসনব্যবস্থায় এক যুগান্তর আনয়ন করিয়াছিলেন; দেশের শাসনব্যবস্থাকে শক্তিশালী স্থায়ী ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন।
ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের শাসন-কর্তা হিসাবে এক্ষেত্রে কিছুটা মৌলিকতার পরিচয় দিলেও মোটামুটিভাবে তৈয়ারী শাসনযন্ত্রের সুবিধালাভ করিতে পারিয়াছিলেন।
ধর্মনীতি: উদার ও পরধর্মসহিষ্ণু আকবর
ধর্মনীতিতে আকবর ও ঔরঙ্গজেব ছিলেন পৃথক। আকবর ছিলেন ধর্মভাবে উদার, পরধর্মসহিষ্ণুতার প্রতীক। তিনি বিশ্বাস করিতেন যে সমস্ত ধর্মের কিছু না কিছু গুণ নিহিত আছে । তাই সমস্ত ধর্মাবলম্বীকেই তিনি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করিতেন ও ধর্মপ্রচারের অবাধ স্বাধীনতা দিতেন।
গোঁড়া ও অসহিষ্ণু ঔরঙ্গজেব
কিন্তু ঔরঙ্গজেব ছিলেন গোঁড়া সুন্নী মুসলমান। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি ছিলেন অনাড়ম্বর, নিষ্ঠাবান ও আদর্শ পুরুষ, কিন্তু পরধর্ম সম্বন্ধে অসহিষ্ণু এবং নিপীড়ক। সুতরাং অন্যধর্মাবলম্বী কাহাকেও তিনি বিশ্বাস করিতেন না, কাহারও উপর নির্ভর করিতে পারিতেন না।
ফলে আকবর লাভ করিয়াছিলেন জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সকল ধর্মাবলম্বীগণের শ্রদ্ধা ও ভক্তি। কিন্তু ঔরঙ্গজেব কেবলমাত্র গোঁড়া মুসলমান ছাড়া আর সকলের ঘৃণার পাত্র হইয়া উঠিয়াছিলেন ।
আকবরের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি
আকবরের রাজনৈতিক দূরদৃষ্টি ছিল অত্যন্ত স্বচ্ছ। ভারতের মত বিশাল দেশে বিভিন্ন জাতি ও ধর্মাবলম্বীদের সমর্থনের ভিত্তিতেই যে সাম্রাজ্য স্থায়িত্ব লাভ করিতে পারে তাহা বুঝিবার মত প্রথর বুদ্ধি ও আকবরের রাজনৈতিক বিবেচনা আকবরের ছিল।
তাই তিনি রাজপুতদের দুরদৃষ্টি মত দুর্ধর্ষ স্বাধীনতাকামী যোদ্ধা ও রাজাদের সমর্থন এবং সাম্রাজ্য বিস্তারে তাহাদের সহযোগিতা লাভ করিয়াছিলেন।
ঔরঙ্গজেবের নীতির ফলে শত্রু সৃষ্টি
ঔরঙ্গজেব এই দূরদৃষ্টির পরিচয় দিতে পারেন নাই। তাঁহার ধর্মান্ধতা তাঁহার রাজনৈতিক দূরদৃষ্টিকে আচ্ছন্ন করিয়া ফেলিয়াছিল। তাই চারিদিকে হিন্দুদের বিদ্রোহ দেখা দিয়াছিল, রাজপুগণ শত্রুতে পরিণত হইয়াছিল, মারাঠাদের উত্থান সম্ভব হইয়াছিল ।
আকবরের সাফল্য ঔরঙ্গজেবের ব্যর্থতা
আকবরের উদার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নীতি পরিত্যাগ করিয়া ঔরঙ্গজেব নিজেকে শত্রুদ্বারা পরিবেষ্টিত করিয়া ফেলিয়াছিলেন।
এমন কি তিনি তাঁহার অন্ধ নীতি দ্বারা এমন সমস্ত ঘুমন্ত শক্তিকে জাগাইয়া তুলিয়া ছিলেন যাহাদিগকে ভবিষ্যতে আর দমন করা যায় নাই, যাহারা মোগল সাম্রাজ্যকে আঘাতের পর আঘাত করিয়া দুর্বল করিয়া ফেলিয়াছিল ।
সুতরাং আকবর তাঁহার উদার দূরদৃষ্টি- সম্পন্ন নীতি প্রয়োগ করিয়া যেখানে কৃতকার্য হইয়াছিলেন, ঔরঙ্গজেব তাঁহার অদূরদর্শী নীতির দ্বারা সেখানে ব্যর্থতাই ডাকিয়া আনিয়াছিলেন ।
FAQs
প্রশ্ন: ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকাল কত বছর ছিল?
উত্তর: ঔরঙ্গজেবের রাজত্বকাল (১৬৫৮ – ১৭০৭) প্রায় ৪৯ বছর।
প্রশ্ন: ঔরঙ্গজেবের পুত্রের নাম কি?
উত্তর: আওরঙ্গজেব,দারাশিকোহ, শাহ শুজা ও মুরাদ বখস ছিল ঔরঙ্গজেবের ৪ পুত্র।
প্রশ্ন: ঔরঙ্গজেবের কন্যার নাম কি?
উত্তর: আওরঙ্গজেবের মেয়ের নাম জেব-উন-নিসা।
প্রশ্ন: ঔরঙ্গজেব কবে মারা যান?
উত্তর: 1707 সালে ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্য অঞ্চলে একটি সামরিক অভিযানের সময় অসুস্থ হয়ে মারা যান।