আজ এই লেখার মাধ্যমে আমরা মোগল বাদশা বাবরের প্রতিষ্ঠিত মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি আলোচনা করবো। সমসাময়িক সাম্রাজ্যের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের শিখরে ওঠা এই মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা হয় শাহজাহানের আমলে, আর এই সাম্রাজ্যের সলিল সমাধি হয় সম্রাট ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পঞ্চাশ বছরের মধ্যে।
কোনো সাম্রাজ্যের সূচনা বা পতন কিন্তু এক দিনে বা একটি কারণে হয় না, তার পিছনে অনেক গুলি কারণ থাকে। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনেরও অনেক গুলি কারণ আছে, সে আভ্যন্তরীণ কারণ হোক বা বহিরাগত কারণ। চলুন আলোচনা করা যাক মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি কি কি ছিল?
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের আভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত কারণ
ইতিহাসে সাম্রাজ্যের উত্থান যেমন সত্য, উহার পতনও তেমনি সত্য। মধ্যযুগে একদা মোগল সাম্রাজ্য আয়তন, জনসংখ্যা ও আর্থিক সম্পদে সমগ্র বিশ্বে শ্রেষ্ঠ আসন গ্রহণ করিয়াছিল; কিন্তু দুইশত বৎসরের কিছু অধিককালের মধ্যেই উহার অস্তিত্ব বিলুপ্ত হইয়া গেল।
এত বড় একটি সাম্রাজ্যের পতন কেবলমাত্র একটি কারণে সম্ভব নহে, বা একদিনেও সম্ভব নহে ৷ দীর্ঘদিন ধরিয়া কয়েকটি আভ্যন্তরীণ কারণে উহার ভিত্তি শিথিল হইয়া আসিতেছিল; অবশেষে বহির্দেশ হইতে কয়েকটি আক্রমণ উহার উপর চরম আঘাত হানিল ।
🔥আরও পড়ুনঃ-
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের আভ্যন্তরীণ কারণ
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য বেশ কিছু আভ্যন্তরীণ ঘটনা দায়ী ছিল, যেগুলি না ঘটলে হয়ত মুঘল সাম্রাজ্যকে পতনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত। নিতে মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য কিছু উল্লেখযোগ্য আভ্যন্তরীণ কারণ আলোচনা করা হল –
সামরিক জাতির গুণাবলী ও শক্তি
সম্রাট শাহজাহানের আমল হইতেই মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সূচনা হয়। মধ্যযুগের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী মোগল সাম্রাজ্যও মূলতঃ সামরিক ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত ছিল। মোগলগণ ছিলেন নিতান্তই সামরিক জাতি। ভারতবর্ষে যতদিন যুদ্ধের প্রয়োজন ছিল ততদিন তাহাদের গুণাবলী ও শক্তি ছিল অটুট। কিন্তু যখন হইতে তাহার প্রয়োজন মিটিয়া গেল তখন হইতে নানাদিক দিয়া তাহাদের মধ্যে দুর্বলতা দেখা দিতে লাগিল, তাহাদের পতন আরম্ভ হইল।
সম্রাটের ব্যক্তিগত চরিত্রের উপর নির্ভরশীল
মোগল শাসন ছিল স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্র। এক্ষেত্রে সম্রাটের ব্যক্তিগত চরিত্র, বুদ্ধি, কর্মনিষ্ঠা ও সামরিক শক্তির উপরই সাম্রাজ্যের অস্তিত্ব একান্তভাবে নির্ভর করিত। ঔরঙ্গজেব পর্যন্ত মোগল সম্রাটগণের পরিশ্রম ও কর্মনিষ্ঠার জন্য সাম্রাজ্যের ঐক্য ও শৃঙ্খলা মোটের উপর অব্যাহত রাখা সম্ভব হইয়াছিল কিন্তু পরবর্তী যুগের বিলাস-প্রিয় দুর্বল সম্রাটগণ সাম্রাজ্যকে সঙ্কট হইতে রক্ষা করিবার মত কোন ক্ষমতা রাখিত না। প্রাদেশিক শাসনকর্তাদের স্বাধীনতাস্পৃহাকে দমন করিতে পারিত না।
সাম্রাজ্যের প্রতি জনসাধারণের আনুগত্য
স্বৈরাচারী একনায়কতন্ত্রের অপর সমস্ত ত্রুটিও মোগল সাম্রাজ্যে স্বভাবতঃই বিদ্যমান ছিল। জনসাধারণের স্থায়ী সমর্থন ও আনুগত্যের উপর মোগল সাম্রাজ্যের ভিত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিল না। “The Mughul Empire, like all Asiatic despotism, had swallow roots. – Dr. Smith.
একমাত্র মোগল সম্রাট আকবর তাঁহার উদারতা, দূরদর্শিতা ও গভীর রাজনীতি জ্ঞানের সাহায্যে সাম্রাজ্যের প্রতি প্রজাসাধারণের আনুগত্য লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন। কিন্তু পরবর্তী মোগল সম্রাটগণ সে নীতি অনুসরণ করেন নাই, এবং স্বভাবতঃই জনসাধারণের সমর্থনের দৃঢ়ভিত্তির উপর সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয় নাই। তাই সাম্রাজ্যের সহিত প্রজা-সাধারণের কোন যোগাযোগ ছিল না।
বিলাস ও আড়ম্বরের আতিশয্য জনগণের অর্থনৈতিক দুর্গতি
সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক কাঠামো শক্তিশালী করিবার কোন প্রচেষ্টা ছিল না। একদিকে যেমন ছিল রাজকীয় আড়ম্বর ও বিলাস-ব্যসন অপরদিকে তেমনি ছিল প্রজাসাধারণের অর্থনৈতিক দুর্গতি। একটি সুনিয়ন্ত্রিত অর্থনৈতিক নীতি দ্বারা সাম্রাজ্যের অর্থনৈতিক শক্তি ও সমৃদ্ধি বৃদ্ধি করার কোন চেষ্টাই ছিল না। ফলে সাম্রাজ্যের ভিত্তি ছিল দুর্বল।
রাস্তাঘাট ও যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব
সাম্রাজ্যের বিশাল আয়তন উহার পতনের অন্যতম কারণ ছিল। মধ্যযুগে রাস্তাঘাট বা যোগাযোগের ব্যবস্থা সুবিধাজনক ছিল না; সুতরাং দূরবর্তী প্রদেশসমূহের উপর কেন্দ্র হইতে দৃষ্টি রাখা এক দুরূহ ব্যাপার ছিল।
উত্তরাধিকার দ্বন্দ্ব
উত্তরাধিকার সম্বন্ধে কোন সুনির্দিষ্ট আইন না থাকায় প্রতিবারই উত্তরাধিকার দ্বন্দ্বের উদ্ভব হইত। ইহার ফলে স্বার্থান্বেষী আমীরগণের প্রভাব বৃদ্ধি পাইত এবং সাম্রাজ্যের ভিত্তি শিথিল হইয়া পড়িত।
আভিজাত শ্রেণীর অধঃপতন
মোগল শাসনের শেষদিকে অভিজাত শ্রেণীর মধ্যেও নান। দুর্বলতা প্রবেশ করিতেছিল। বিলাস-প্রিয়তা স্বার্থান্বেষণ, আত্মকলহ প্রভৃতি তাহাদের মধ্যে প্রবলভাবে দেখা দিতেছিল। অথচ এই অভিজাত শ্রেণীই এক সময়ে সাম্রাজ্যের স্তম্ভস্বরূপ ছিল।
বিভিন্ন জাতির সমন্বয়ে সৈন্যবাহিনী মনসবদারী প্রথার কুফল
মোগল সামরিক বাহিনীর মধ্যেও অবশেষে নানা দুর্বলতা দেখা দেয়। বিভিন্ন জাতি হইতে সৈন্যদল সংগৃহীত হওয়ায় মোগল বাহিনী কোন সময়েই জাতীয় বাহিনীরূপে দেখা দেয় নাই এবং সকল জায়গায় একরকম রণনীতিও অনু্যত হইতে পারে নাই। মনসবদারী প্রথা চালু থাকার ফলে সৈন্যদলের আনুগত্য অনেক সময় সম্রাটের চাইতে মনসবদারগণের উপরই বেশি দেখা যাইত।
সৈন্যবাহিনীর বিলাসব্যসন, জাঁকজমক
তাহাছাড়া, সেনা শিবিরে বিলাস-ব্যসন, জাঁক-জমক প্রভৃতি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা অনেক পরিমাণে বিনষ্ট করিয়া দিয়াছিল। অনাবশ্যকভাবে সৈন্যবাহিনীর সহিত প্রচুর দ্রব্যসম্ভার থাকার ফলে উহার ক্ষিপ্রগতি ব্যাহত হইয়াছিল এবং এই জন্যই মারাঠা বাহিনীর সহিত তাহারা কিছুতেই আঁটিয়া উঠিতে পারিত না।
“In short excepting want of personal courage, every other fault in the list of military vices may be attributed to the degenerated Mughuls-indiscipline, want of cohesion, luxurious habits, inactivity, bad com – missariat and cumbrous equipment.”-Irvine.
নৌবাহিনীর অভাব ও তাহার ফল
নৌবাহিনীর অভাবকে মোগল সাম্রাজ্যের পতনের অন্যতম কারণ বলিয়া ঐতিহাসিক স্মিথ উল্লেখ করিয়াছেন। তাঁহার মতে এই দুর্বলতার জন্যই মোগলগণ নৌ-বুলে বলীয়ান ইউরোপীয় গণকে পথ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইয়াছিল। কিন্তু এই মত গ্রহণযোগ্য নয় ; কারণ ইউরোপীয় অপেক্ষা মারাঠাগণের নিকট হইতেই মোগল সাম্রাজ্যের উপর প্রথম ও প্রধান আঘাত আসিয়াছিল ।
ঔরঙ্গজেবের পরধর্ম অসহিষ্ণুতা
সর্বশেষে, মোগল সাম্রাজ্যের পতনের জন্য ঔরঙ্গজেবের ধর্মান্ধতা ও দাক্ষিণাত্য নীতি কম দায়ী নহে। তাঁহার পরধর্ম অসহিষ্ণুতার জন্য হিন্দু প্রজাগণ সাম্রাজ্যের পরম শত্রুতে পরিণত হইয়াছিল, তাঁহারই অদূরদর্শিতার ফলে জাঠ, রাজপুত, মারাঠা ও শিখদের তরফ হইতে মোগল সাম্রাজ্য-বিরোধী আন্দোলনের অভ্যুদয় ঘটিয়াছিল এবং ফলে সাম্রাজ্যের বিপর্যয় দেখা দিয়াছিল ।
‘দাক্ষিণাত্য ক্ষত’ রাজধানী হইতে দীর্ঘকাল অনুপস্থিতি
ঔরঙ্গজেবের দাক্ষিণাত্য-নীতির ব্যর্থতাও সাম্রাজ্যের ধ্বংসের পথকে সুগম করিয়া দিয়াছিল। তাঁহার দাক্ষিণাত্য বিজয় মোগল সাম্রাজ্যের শক্তি বৃদ্ধি না করিয়া তাঁহার দেহে ক্ষত সৃষ্টি করিয়াছিল।
মারাঠা শক্তিকে দমন করিবার জন্য দীর্ঘকাল রাজধানী হইতে অনুপস্থিত থাকিয়া তিনি দেশের শাসনব্যবস্থাকে শিথিল করিয়া ফেলিয়াছিলেন। মারাঠা শক্তির সহিত ক্রমাগত ব্যর্থ সংঘর্ষে লিপ্ত থাকিয়া তিনি তাঁহার সৈন্যবাহিনীর মধ্যে হতাশার সৃষ্টি করিতে সাহায্য করিয়াছিলেন মাত্র ।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের বহিরাগত কারণ
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের আভ্যন্তরীণ কারণ ছাড়া বেশ কিছু বহিরাগত কারণকে সারাসরি দায়ী করা যায়। উল্লেখযোগ্য কিছু বহিরাগত কারণকে নিচে দৃষ্টিপাত করানো হল –
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত রক্ষা ব্যবস্থায় দুর্বলতা
কেবলমাত্র এই সমস্ত আভ্যন্তরীণ কারণে হয়ত মোগল সাম্রাজ্য এত দ্রুত ভাঙ্গিয়া পড়িত না, যদি না বহির্দেশ হইতে আঘাতের পর আঘাত আসিয়া তাঁহাকে বিপর্যস্ত করিত। উত্তরপশ্চিম দ্বারপথ দিয়াই যুগে যুগে ভারতে বহিঃশত্রুর প্রবেশ সম্ভব হইয়াছিল। কিন্তু এই দ্বারপথকে সুরক্ষিত রাখিবার কোন উল্লেখযোগ্য চেষ্টাই মোগল সম্রাটগণ করেন নাই।
নাদির শাহ ও আহম্মদ শাহ দুররানী
ইহারই সুযোগ লইয়া এবং আভ্যন্তরীণ দুর্বলতায় প্রলুব্ধ হইয়া প্রথম নাদিরশাহ এবং পরে আহম্মদ শাহ, দূররানী বার বার সাম্রাজ্যের উপর আঘাত হানিতে লাগিলেন ৷ এই আঘাত হইতে সাম্রাজ্যকে বাঁচাইবার কোন ক্ষমতা দুর্বল সম্রাটদের ছিল না। এইরূপভাবে আভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত কারণে একদা বিশাল মোগল সাম্রাজ্য ধ্বংসের পথে অগ্রসর হইল।
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলাফল
মুঘল সাম্রাজ্যের পতন দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী এবং প্রভাবশালী সাম্রাজ্যকে একেবারে ছারখার করে দেয়। মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী যা নিম্নে আলোচনা করা হল:
আঞ্চলিক শক্তির উত্থান:
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের পর, ভারত বিভিন্ন আঞ্চলিক শক্তি ও রাজ্যের উত্থান ঘটে। যেমন পশ্চিম ভারতের মারাঠা, পাঞ্জাব অঞ্চলের শিখ এবং রাজস্থানের বিভিন্ন রাজপুত রাজ্য গুলির শক্তিশালী উত্থান ঘটে।
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সূচনা:
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিণতি হল ভারতে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের উত্থান। যেকারণে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ধীরে ধীরে ভারতীয় ভূখণ্ডে তাদের নিয়ন্ত্রণ প্রসারের মাধ্যমে একটি ঔপনিবেশিক শাসন প্রতিষ্ঠিত করে।
ব্রিটিশদের দ্বারা নানান অর্থনৈতিক শোষণ:
ব্রিটিশ শাসনের অধীনে, ভারতের ধন সম্পদ ব্যাপকভাবে শোষণ হয়। এর জন্য দায়ী ছিল কিছু ব্রিটিশ নীতি, যেমন চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত এবং অতিরিক্ত কর আরোপ যা ছিল ভারতীয় জনসাধারণের জন্য অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা। যে কারণে ভারতের ঐতিহ্যপূর্ন শিল্পের পতন ঘটে।
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাব:
মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের প্রভাব সরাসরি ভারতবর্ষের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক পরে, যেকারণে জমিদারি প্রথা সহ ঐতিহ্যগত শাসনব্যবস্থা পরিবর্তিত হয় যা সাধারণ মানুষের জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে।
ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং প্রতিরোধ:
ব্রিটিশ শাসনের অসন্তোষ এবং ভারতের স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার করার জন্য 1857 সালে ব্রিটিশ বিরোধী সিপাহী বিদ্রোহ হয়, যা ছিল প্রথম ঘটে যাওয়া ভারতের স্বাধীনতাসংগ্রাম।
আধুনিকীকরণ ও সংস্কার:
রাজা রাম মোহন রায় এবং স্বামী বিবেকানন্দের মতো বিশিষ্ট নেতারা সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কারের জন্য গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীকালে নেতাজী সুভাস চন্দ্র বোস, মহাত্মা গান্ধী এবং জওহরলাল নেহরুর মতো নেতারা ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন।
1947 সালের ভারত বিভাজন:
মুঘল সাম্রাজ্যের পতন এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের সমাপ্তি যা1947 সালে ভারতের স্বাধীনতার মঞ্চ তৈরি করে। ভারতকে বিভাজন করে দুটি পৃথক দেশ ভারত ও পাকিস্তানের সৃষ্টি হয়।
উপসংহার
উপরে আলোচিত মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ গুলি আশা করি আপনাদের সাথেষ্ট তর্থ্য দিয়েছে। মুঘল সাম্রাজ্য পতনের আর অন্য কোনো কারণ আপনাদের জানা থাকলে আপনারা আমার কম্যান্ড বক্সতে কম্যান্ড করে জানাতে পারেন।
আপাতঃ দৃষ্টিতে এই ধ্বংস সাধন ঔরঙ্গজেবের পর অত্যন্ত দ্রুত গতিতে সংঘটিত হইয়াছিল মনে হইতে পারে, কিন্তু উপরোক্ত কারণ সমূহ বিশ্লেষণ করিলে দেখা যাইবে যে ইহাতে আশ্চর্য হইবার কিছুই নাই ।
“The collapse of the Empire came with a suddenness which at first sight may seem surprising. But the student who has acquired even a moderately sound knowledge of history will be surprised that the Empire lasted so long rather than because it collapsed suddenly.” – Dr. Smith.
FAQs মুঘল সাম্রাজ্যের পতন
প্রশ্ন: মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ কোন যুদ্ধ?
উত্তর: 1757 খ্রিস্টাব্দে 23 জুন সিরাজউদ্দৌলার ও ফরাসি মিত্রদের সঙ্গে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সংঘটিত পলাশীর যুদ্ধ মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের কারণ।
প্রশ্ন: মুঘল সাম্রাজ্যের পতন হয় কত সালে?
উত্তর: 1858 সালে ব্রিটিশদের দ্বারা শেষ মুঘল সম্রাট (19তম) দ্বিতীয় বাহাদুর শাহ ক্ষমতাচ্যুত হন।
প্রশ্ন: মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: 1526 সালে মির্জা জহিরুদ্দিন মহম্মদ বাবর (Zahiruddin Muhammad Babur) মুঘল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করেন।