কেন্দ্র সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি 2023 (National Education Policy) তে শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে যাচ্ছে ৷ যেখানে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পঠন-পাঠনের ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আসতে চলেছে। CBSE (সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন) জাতীয় শিক্ষানীতির অঙ্গ হিসাবে তাদের পাঠ্যসূচিতে কিছুটা পরিবর্তন আনতে চলেছে, যেখানে শিক্ষার্থীরা শুধু মাত্র ইংরাজি ভাষা নয়, শিক্ষার্থীরা তাদের আঞ্চলিক ভাষা (মাতৃভাষা), যেগুলি ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত, সেই সমস্ত ভাষা গুলিকেও শিক্ষার্থীর ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করা হবে।
এ বিষয়ে সিবিএসই ডিরেক্টর যোশেফ ইমানুয়েল তাদের স্কুল গুলিতে চিঠি পাঠিয়েছে। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রকের তরফ থেকে বলা হয়েছে একাধিক ভাষায় শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে স্কুল গুলিতে অনেক সমস্যা আসবে যেমন মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের জন্য দক্ষ শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, পাঠ্যবই গুলি একাধিক ভাষায় প্রকাশ করতে হবে।
🔥আরও পড়ুনঃ-
সিবিএসই স্কুলে যে 22টি ভাষা সংযুক্ত হয়েছে সে ভাষা গুলির নাম
ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তফসিলে যে 22টি ভাষার উল্লেখ রয়েছে, সেই ভাষা গুলি এখন সিবিএসই (Central Board of Secondary Education) স্কুলের সিলেবাসে পড়ানো হবে।
প্রথমে ভারতীয় সংবিধানের মোট 14 টি ভাষা ছিল। সেগুলি হল যথাক্রমে বাংলা, হিন্দি, অসমীয়া, কন্নড়, কাশ্মীরি, গুজরাটি, মারাঠি, মালায়লম, তামিল, তেলেগু, ওড়িয়া, পাঞ্জাবি, সংস্কৃত, এবং উর্দু।
পরবর্তী কালে ভারতীয় সংবিধানে আরো 8 টি ভাষা যেমন বোডো, ডোগরি, কোঙ্কানি, মৈথিলি, মণিপুরি, নেপালি, সাঁওতালি, এবং সিন্ধি ভাষাকে সংযুক্ত করা হয়েছে।
কোন ক্লাস থেকে কোন ক্লাস পর্যন্ত এই ভাষা গুলিকে পড়ানো হবে?
উপরে উল্লেখিত সংবিধানে বর্ণিত এই ২২ টি ভাষা প্রি প্রাইমারি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনরত পড়ুয়াদের ঐচ্ছিক ভাষা হিসাবে তাদের পাঠ্যসূচিতে যুক্ত করা হয়।
সিবিএসই স্কুল গুলিতে শুধু ইংরেজি নয়, মাতৃ ভাষাতে শিক্ষাদান করা হবে এবিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মত
কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রক এবিষয় বিশেষজ্ঞদের কাছে পরামর্শ জানতে চেয়েছে। শিক্ষা বিশেষজ্ঞ সুধা আচার্য (ন্যাশানাল প্রগ্রেসিভ স্কুল কনফারেন্সের চেয়ারপার্সন) জানিয়েছেন নার্সারিতে যখন বাচ্চারা ভর্তি হয়, তখন তারা মাতৃভাষাতে কথা বলতে অনেকটা স্বচ্ছন্দ বোধ করে।
তিনি বলেন মাতৃভাষার যে সৌন্দর্য আছে সেটা সমস্ত পড়ুয়াকে অনুভব করতে হবে, এজন্য এবছর থেকে ক্লাস ওয়ানতে একটি ভারতীয় ভাষাকে শিক্ষার্থীর পাঠ্য সূচিতে অন্তর ভূক্ত করা হয়েছে, যার জন্য শিক্ষার্থীকে কোন পরীক্ষায় পাশ করার প্রয়োজন নেই।
শিক্ষাবিদ জ্যোতি (মাউন্ট আবু পাবলিক স্কুলের প্রিন্সিপাল) বলেছেন একমাত্র এই ভাবে আমরা আমাদের ঐতিহ্যময়ী মাতৃভাষাকে আমাদের পরবর্তী জেনারেশনের কাছে তুলে ধরতে পারে।