গিয়াসউদ্দিন বলবনের জীবন পরিচয় । Ghiyasuddin Balban Biography in Bengali

WhatsApp Group (Join Now) Join Now
Telegram Group (Join Now) Join Now
1/5 - (1 vote)

এই আর্টিকেলটিতে গিয়াসউদ্দিন বলবনের জীবন পরিচয় সম্পর্কে আলোচনা করবো। ইলতুৎমিসের পরবর্তীকালে দিল্লীর সুলতানি সাম্রাজ্যে ধীরে ধীরে এক গভীর সঙ্কট ঘনীভূত হইয়া আসিতেছিল। সুলতানদের অকর্মণ্যতা, অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রভৃতি শাসনব্যবস্থায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করিয়াছিল ।

চারিদিকে বিদ্রোহ, স্বাধীনতা ঘোষণা ও বৈদেশিক মোঙ্গল আক্রমণ সাম্রাজ্যের সংহতি পর্যন্ত বিনষ্ট করিতেছিল। এই সঙ্কটজনক মূহূর্তে শাসনভার গ্রহণ করিয়া গিয়াস উদ্দিন বলবন পুনরায় মুসলমান আধিপত্যকে দৃঢ়ভিত্তিতের উপর স্থাপন করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন ।

গিয়াসউদ্দিন বলবনের জীবন পরিচয়

এক নজরে

1.নামগিয়াসউদ্দিন বলবন
2.জন্ম1200 খ্রিস্টাব্দ (আনুমানিক)
3.উপাধিই-ইলাহী (ঈশ্বরের ছায়া)
4.জন্ম স্থানতুর্কিস্তান, কাজাখস্তান
5.বংশ দিল্লির মামলুক রাজবংশ
6.রাজত্বকাল 1266 থেকে 1287 খ্রিস্টাব্দ
7.পিতা বাহাউদ্দিন
8.স্ত্রী খানজাদা
9.উত্তরসূরি মুইজ্জউদ্দিন কায়কাবাদ (নাতি)
10.পুত্র মোহাম্মদ খান, নাসিরুদ্দিন বুগরা খান
11.মৃত্যু 1286 খ্রিস্টাব্দ
12.সমাধি স্থল দিল্লির মেহরাউলির প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যানে

🔥আরও পড়ুনঃ-

👉 গিয়াসউদ্দিন বলবনের কৃতিত্ব

গিয়াস উদ্দিন বলবনের প্রথম জীবন (Early life):

ইলবেরি-তুর্কি ইলতুৎমিসের ক্রীতদাস

ইলতুৎমিসের ন্যায় গিয়াস উদ্দিন বলবনও তুর্কীস্থানের ইলবেরি জাতি সম্ভূত ছিলেন। বাল্যকালে তিনি মোঙ্গলদের হাতে বন্দী হইয়া ক্রীতদাসরূপে বসার খাজা জামাল-উদ্দিনের নিকট বিক্রীত হন ।

জামাল-উদ্দিন তাঁহাকে দিল্লীতে লইয়া আসিলে ইলতুৎমিস তাঁহাকে ক্রয় করিয়া লন। আপন বীরত্ব ও কর্মদক্ষতার ফলে তিনি ইলতুৎমিসের বিখ্যাত চল্লিশ জন ক্রীতদাসের (Chahelgan – The Forty) অন্যতম হইয়া উঠিয়াছিলেন।

রাজনৈতিক ক্ষমতা বৃদ্ধি

রাজিয়া কর্তৃক তিনি ‘আমীর ই-শীকার’ পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। বাহরাম শাহের রাজত্বকালে তিনি পাঞ্জাবের অন্তর্গত গুরগাঁও জেলার জায়গীর প্রাপ্ত হন। এই সময় মোঙ্গলগণকে মুলতান হইতে বিতাড়িত করিয়া তিনি নাসিরুদ্দিনের প্রধান মন্ত্রী যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেন।

অতঃপর অন্যান্য আমীরগণের সহিত মিলিতভাবে তিনি পরবর্তী অকর্মণ্য সুলতান মামুদ শাহকে সিংহাসন- চ্যুত করিয়া ইলতুৎমিসের কনিষ্ঠ পুত্র নাসিরুদ্দিনকে তথায় অধিষ্ঠিত করেন।

পুরস্কার স্বরূপ তিনি নাসিরুদ্দিনের প্রধান মন্ত্রী পদে নিযুক্ত হন। ইহার কয়েক বৎসর পর স্বীয় কন্যার সহিত নাসিরুদ্দিনের বিবাহ দিয়। তিনি তাঁহার প্রভাব আরও বৃদ্ধি করিয়াছিলেন।

বলবনের শাসনকাল — মন্ত্রীরূপে (Rule of Balban as a Minister 1246-65):

মন্ত্রী হিসাবে দক্ষতার পরিচয় কেন্দ্রীয় শাসন প্রতিষ্ঠা

সুলতান নাসিরুদ্দিন ছিলেন দুর্বল, ধর্মভীরু ও ন্যায়পরায়ণ, তাই শাসনকার্য পরিচালনার ভার গ্রহণ করিয়াছিল অভিজাত সম্প্রদায়। সুলতানের সহকারী হিসাবে বলবনই তখন প্রধানতঃ রাজকার্য পরিচালনা করিতে লাগিলেন এবং শাসন সংক্রান্ত ব্যাপারে দক্ষতার পরিচয় দিলেন ।

মুলতান পুনরুদ্ধার

(ক) প্রথমেই তিনি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন প্রদেশে কেন্দ্রীয় শাসন সুপ্রতিষ্ঠিত করিবার জন্য সচেষ্ট হইলেন। তিনি দোয়াব অঞ্চলের বিদ্রোহী রাজা ও জমিদারগণের বিরুদ্ধে পর পর কয়েকটি অভিযান প্রেরণ করিয়া তাহাদিগকে সম্পূর্ণভাবে দমন করিলেন।

১২৪১ খ্রীষ্টাব্দে তিনি সৈফুদ্দিন হাসানকে পরাজিত করিয়া মুলতান পুনরুদ্ধার করিলেন। ১২৫৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি মুলতানের বিদ্রোহী শাসন- কর্তা কালু খাঁ-কেও দমন করেন।

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত বাংলার বিরুদ্ধে অভিযান

(খ) বৈদেশিক আক্রমণ হইতে দেশকে রক্ষা করার প্রয়োজনীয়তাও তিনি সমানভাবে উপলব্ধি করিয়াছিলেন। মোঙ্গল আক্রমণ তাঁহার দ্বারা প্রতিহত হইলে মোঙ্গলগণ দিল্লী সাম্রাজ্যের সীমা আর লঙ্ঘন করিবে না বলিয়া প্রতিশ্রুতি দিতে বাধ্য হইয়াছিল; অবশ্য নাসিরুদ্দিনের রাজত্বের শেষ সময় পর্যন্ত পাঞ্জাবের একটি বৃহৎ অংশ মোঙ্গলদের অধিকারভুক্ত রহিয়া গিয়াছিল।

কালিঞ্জর ও গোয়ালিয়র মেওয়াটী দস্যু

(গ) বাংলার স্বাধীনতা প্রচেষ্টাকে খর্ব করিবার জন্য তিনি কয়েকবার অভিযান পরিচালনা করিয়াছিলেন সাময়িকভাবে কৃতকার্যও হইয়াছিলেন; কিন্তু নাসিরুদ্দিনের রাজত্বের শেষদিকে বাংলা স্বাধীনই থাকিয়া যায়।

(ঘ) বলবন কালিঞ্জর ও গোয়ালিয়রের হিন্দু রাজগণকে এবং মেওয়াটের উপজাতিগুলিকে দমন করিয়া ঐ সব অঞ্চলে দিল্লীর শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। অবশ্য মালব ও মধ্য ভারতে তুর্কী শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিবার কোন চেষ্টা তখন তিনি করিতে পারেন নাই।

আভ্যন্তরীণ আইন ও শৃঙ্খলা

(৫) আভ্যন্তরীণ আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখিবার জন্য আমীর ও অভিজাতবর্গের স্বেচ্ছাচার নিম্নন্ত্রিত করিবার প্রয়োজনীয়তা তখনই তিনি উপলব্ধি করিয়া- ছিলেন।

কিন্তু স্বাভাবিক কারণে তিনি তখন তাহা করিয়া উঠিতে পারেন নাই। ১২৬৫ খ্রীষ্টাব্দে অপুত্রক অবস্থায় নাসিরুদ্দিনের মৃত্যু হইলে গিয়াস উদ্দিন বলবন স্বাভাবিক ভাবেই সিংহাসনে আরোহণ করেন ।

বলবনের শাসনকাল – সুলতানরূপে (Balban as a Sultan- 1265-87):

জটিল সমস্যার সম্মুখীন বলবনের দৃঢ়তা

সিংহাসনে আরোহণ করিয়াই বলবন নানাবিধ জটিল সমস্যার সম্মুখীন হইলেন। যুদ্ধবিগ্রহ ও অব্যবস্থার ফলে রাজকোষ প্রায় শূন্য হইয়া পড়িয়াছিল। তুর্কী সামস্তগণের স্বেচ্ছাচার, ঔদ্ধত্য জটিল সমস্তার সম্মুখীন সীমা অতিক্রম করিয়া যাইতেছিল।

একদিকে দেশের অভ্যন্তরে বিদ্রোহ ও মেওয়াটি দস্যুদের উপদ্রব, অপর- দিকে বৈদেশিক মোঙ্গল আক্রমণের সম্ভাবনা— সমগ্র অবস্থাকে জটিল করিন্না তুলিয়াছিল। কিন্তু বলবন অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে এবং বিবিধ উপায় অবলম্বন করিয়া রাজশক্তিকে শক্তিশালী করিতে এবং সাম্রাজ্যের সংহতি রক্ষা করিতে উদ্যোগী হইলেন ।

রাষ্ট্রশক্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার নীতি

দীর্ঘ রাজনৈতিক অভিজ্ঞতার ফলে তিনি বুঝিয়াছিলেন যে রাজার ক্ষমতা ও মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা ছাড়া কোন সমস্যারই সমাধান সম্ভব নয় ।

নাসিরুদ্দিনের রাজত্বের শেষ দিকে রাষ্ট্রশক্তির প্রতি জনসাধারণের, বিশেষ করিয়া অভিজাত সম্প্রদায়ের কোনরূপ আস্থা বা শ্রদ্ধা ছিল না, রাজশক্তি সম্বন্ধে তাহাদের মনে কোনরূপ ভীতিও ছিল না।

“Fear of the governing power had departed from the hearts of men and the country had fallen into a wretched condition.”-Barani.

রাজকীয় মর্যাদা বৃদ্ধি পারসিক আদবকায়দা

সুতরাং বলবন রাজক্ষমতাকে পূর্ণভাবে প্রতিষ্ঠিত করা, প্রজাবর্গ ও অভিজাত শ্রেণীর আনুগত্যলাভ ও রাজ্যের নিরাপত্তা বিধান করিবার নীতি গ্রহণ করিলেন।

প্রজাবর্গের মধ্যে রাজকীয় মর্যাদা বৃদ্ধি এবং ভীতি উৎপাদনের জন্য তিনি ‘সিজদা’ ‘পাইবস্’প্রভৃতি পারসিক আদবকায়দা ও রীতির প্রচলন করিলেন। রাজসভায় মদ্যপান, নৃত্য-গীত প্রভৃতি রহিত করিয়া দিলেন।

সর্বপ্রকারে দরবারে গাম্ভীর্ষ রক্ষা করিবার ব্যবস্থা করিলেন। এই সকল পরিবর্তনের ফলে রাজকীয় মর্যাদা ও ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করিতে বলবন কিছুটা সক্ষম হইয়াছিলেন।

সামরিক সংস্কার ও শক্তি বৃদ্ধি

সামরিক শক্তিতে বলবন ছিলেন দৃঢ় বিশ্বাসী এবং প্রথমেই তিনি সামরিক সংস্কার প্রবর্তন করিয়া সৈন্যবাহিনীকে শক্তিশালী করিতে মনোযোগী হইলেন; অশ্বারোহী ও পদাতিক বাহিনীর সমর কুশলতা বহুগুণে বৃদ্ধি করিলেন।

সৈন্যগণকে বেতন দেওয়ায় পরিবর্তে তিনিও ভূমি জায়গীর দেওয়ার প্রথা প্রচলন করিয়াছিলেন। অভিজ্ঞ মালিকদের অধীনে পদাতিক ও অশ্বারোহী বাহিনীকে নূতন ভাবে পুনর্গঠন করিলেন, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা প্রয়োগ করিলেন।

অরাজকতা ও বিদ্রোহ দমন

(ক) অতঃপর এই নব-গঠিত সৈন্যবাহিনীর সাহায্যে তিনি সাম্রাজ্যে সকল প্রকার অরাজকতা ও বিদ্রোহ কঠোর হস্তে দমন করিতে উদ্যোগী হইলেন ।

এই সেনাবাহিনীর সাহায্যে তিনি দিল্লীর নিকটবর্তী অঞ্চলে এবং দোয়াব অঞ্চলে শান্তি ও শৃঙ্খলা আনয়ন করিলেন; বিভিন্ন দুর্গে সৈন্য মোতায়েন করিয়া নিরাপত্তা বিধান করিলেন ।

এই কাজ এতই সফল হয় যে ৬০ বৎসর পরেও বরানি লিখিতেছেন, “The road had ever since been free from robbers.’

ইহাতে কেবলমাত্র যে জনসাধারণের ধন প্রাণ রক্ষা পাইল এমন নহে, ব্যবসায়-বাণিজ্যও পুনরায় সমৃদ্ধ হইয়া উঠিল।

অভিজাত শ্রেণীর স্বেচ্ছাচার ও ঔদ্ধত্য নাশ

(খ) রাজশক্তিকে একচ্ছত্র করিবার জন্য অভিজাত সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাচার ও ঔদ্ধত্য দমন করার প্রয়োজনীয়তা তিনি পূর্বেই বুঝিয়াছিলেন । এখন তিনি আমীরগণের ‘বিশেষ ক্ষমতা’ সমূহ একে একে বাতিল করিলেন । তাহাদের অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করিতে লাগিলেন ।

বাংলার বিদ্রোহ দমন

(গ) বাংলার শাসনকর্তাগণ সুযোগ পাইলেই দিল্লীর অধীনতাপাশ হইতে নিজদিগকে মুক্ত করিবার চেষ্টা করিতেন।

“The people of Bengal had for many long years evidenced a disposition to revolt and the disaffected and evil disposed among them generally succeeded in alienating the loyalty of the governors”-Barani.

মোঙ্গল আক্রমণের সুযোগ গ্রহণ করিয়া বাংলার শাসনকর্তা তুঘরিল খাঁ ১২৭৮ খ্রীষ্টাব্দে বিদ্রোহী হইলে বলবন তাঁহার বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। তাহা ব্যর্থ হইলে বলবন স্বয়ং বৃদ্ধ বয়সে যুদ্ধযাত্রা করিয়া তুঘু রিলকে পরাজিত ও নিহত করেন।

মোঙ্গল আক্রমণ

মোঙ্গল আক্রমণ ছিল দিল্লী সাম্রাজ্যের নিকট একটি বিরাট সমস্যা। তাহাদের আক্রমণ হইতে রাজ্য রক্ষা করিবার জন্য বলবন অত্যন্ত দৃঢ়তার সহিত বিভিন্ন ব্যবস্থাদি অবলম্বন করিলেন।

তিনি মুলতান দীপালপুর অঞ্চলে তাঁর প্রথম পুত্র মহম্মদকে এবং সানাম ও সুনাম অঞ্চলে দ্বিতীয় পুত্র বঘড়া থাকে সসৈন্যে মোতায়েন করিলেন।

আক্রমণ প্রতিরোধে বলবনের সার্থক ব্যবস্থা

১২৭৯ খ্রীষ্টাব্দে মোঙ্গলগণ পাঞ্জাব আক্রমণ করিলে দুই পুত্রের সম্মিলিত বাহিনীর নিকট পরাজিত হইয়া মোঙ্গলগণ ভারত ত্যাগ করিতে বাধ্য হয়।

১২৮৬ খ্রীষ্টাব্দে তাহারা আবার ভারত আক্রমণ করিলে মহম্মদ তাহাদের বাধা প্রদান করিতে যাইয়া প্রাণ হারান। অতঃপর বৃদ্ধ বলবন স্বয়ং মোঙ্গলদের বিরুদ্ধে অভিযান করিয়া পাঞ্জাব পুনরুদ্ধার করেন।

কিন্তু অশীতিপর বৃদ্ধ সুলতান তাঁহার সুযোগ্য প্রথম পুত্র মহম্মদের অকাল মৃত্যু সহ্য করিতে না পারিয়া ১২৮৭ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যুমুখে পতিত হইলেন।

উপসংহার

দিল্লীর সালতানাতকে একত্রিত করে একটি শক্তিশালী প্রশাসন তৈরির ক্ষেত্রে গিয়াসউদ্দিন বলবনের ভূমিকা অপরিসীম। গিয়াসউদ্দিন বলবনের জীবন পরিচয় আলোচনার মাধ্যমে আমরা তার ক্রীতদাসবৃত্তি এবং সেখান থেকে একজন মন্ত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ আর সর্বোপরি শাসক হিসাবে দিল্লি সালতানাতের সিংহাসন আরোহন মোটেও সহজ ছিল। তার বুদ্ধিমত্তা ও যুদ্ধ কৌশলি অনেকের কাছে তাকে মহান বানিয়েছে।

FAQs

প্রশ্ন: গিয়াসউদ্দিন বলবনের নীতি কি ছিল?

উত্তর: রক্ত ও লৌহ ছিল গিয়াস উদ্দিন বলবনের মূলনীতি।

প্রশ্ন: গিয়াস উদ্দিন বলবন কত বছর রাজত্ব করেন?

উত্তর: গিয়াস উদ্দিন বলবন 20 বছর (১২৬৬ থেকে ১২৮৬) রাজত্ব করেন।

প্রশ্ন: বলবন উপাধি কে দেন?

উত্তর: বলবন উপাধিটি গিয়াস উদ্দীন এর পূর্বপুরুষের বংশ থেকে উদ্ভূত হয়েছিল। যারা এই বংশের সিংহাসনে বসতেন তাদেরকে “বলবান” রাজকীয় সম্মানে আখ্যায়িত করা হত।

প্রশ্ন: গিয়াসউদ্দিন বলবনের প্রকৃত নাম কি?

উত্তর: অনেকে বাহাউদ্দিন কে গিয়াসউদ্দিন বলবনের প্রকৃত নাম বলে বিবেচনা করেন, কিন্তু আসলে বাহাউদ্দিন ছিলেন গিয়াসউদ্দিন বলবনের পিতা। “উলুঘ খাঁ” ছিল গিয়াসউদ্দিন বলবনের প্রকৃত নাম। তিনি ছিলেন দিল্লির মামলুক রাজবংশ সম্রাট।

প্রশ্ন: বলবন সুলতান হয়ে কোন কোন দুর্গ সুরক্ষিত করেন?

বলবন সুলতান হয়ে গোয়ালিয়র ফোর্ট, কালিঞ্জর ফোর্ট, রণথম্বোর ফোর্ট এবং নাগারকোট ফোর্টকে সুরক্ষিত করেন।

Hey, My Name is Priyanka From Diamond Harbour, West Bengal & I Have Been Blogging Since 3 Years Ago. I Have 10+ Websites Which I Manage by Myself. I completed my graduation in philosophy.

Leave a Comment