পশ্চিমবঙ্গ সরকার আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া মহিলাদের জন্য যে সমস্ত প্ৰকল্প চালু করেছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্ৰকল্প। এই প্রকল্পের মাধ্যমে 1.6 কোটি পরিবার সরাসরি আর্থিক সাহায্য লাভ করে। জেনারেল ও ওবিসি ক্যাটাগরির মহিলাদের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে, আর এস সি ও এস টি দের ক্ষেত্রে প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে।
এতো দিন পর্যন্ত এই প্রকল্পের সাহায্য পাবার জন্য মহিলার বয়েসসীমা ছিল 25 বছর থেকে 60 বছর অর্থাৎ ২৫ বছরের কম বয়েস হলে এই প্রকল্পের সুবিধা পেত না অথবা 60 বছরের বেশি হলে, সুবিধা ভোগীকে নতুন করে বার্ধক্য ভাতার জন্য আবেদন করতে হত, তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্ৰকল্প টাকা আর পেত না।
জুলাই মাস থেকে কোন মহিলাদের দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ১০০০ টাকা?
এই প্রকল্পের সুবিধাভোগী 60 বছরের বেশি বয়েসের মহিলাদের যাতে টাকা পাওয়া বন্ধ না হয় তার জন্য রাজ্য সরকার সাম্প্রতিক একটি ঘোষণার মাধ্যমে জানিয়েছে, এই সমস্ত মহিলার বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেলে সরাসরি তাদের অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা করে বার্ধক্য ভাতা ঢুকবে। এর জন্য সুবিধাভোগী মহিলার নতুন করে কোন ডকুমেন্ট জমা দিতে হবেনা।
🔥আরও পড়ুনঃ-
এই নতুন ঘোষণা অনেক মহিলার মুখে হাঁসি নিয়ে এসেছে, কারণ তারা আবার নতুন করে ১০০০ টাকা করে ভাতা পাবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তিনি নিজে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের দিকে সবসময় সতর্ক দৃষ্টি দিয়ে রেখেছেন। যাতে কোন মহিলা এই প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত না হয়, তার জন্য প্রতি বছর একাধিকবার দুয়ারে সরকার ক্যাম্পের মাধ্যমে নতুন মহিলাদের নাম নতিভুক্ত করা হয়।
লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা কাদের জুলাই মাসে বন্ধ হয়ে যেতে পারে?
যে সমস্ত সুবিধাভোগী মহিলার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে মাসিক একাধিকবার লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ঢোকে, জেনারেল বা ওবিসি ক্যাটাগরি হয়ে এস সি বা এস টি ক্যাটাগরির মত ৫০০ টাকার পরিবর্তে ১০০০ টাকা করে পাচ্ছে, যাদের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই, যাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে আধার কার্ড দেওয়া নেই সেই সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা আর পাবেনা।
লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের শুরু কবে থেকে হয়?
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ এর ১ জুলাই মাসের রাজ্য বাজেটে আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রথম লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষনা করেন, যা দূয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে ১৬ আগষ্ট থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর মাস ২০২১ এই প্রকল্পের জন্য আবেদন গ্রহণের কাজ চলে।