আজ এই লেখার মাধ্যমে শিবাজীর পরবর্তীকালে মারাঠা শক্তির উত্থানে তিন পেশওয়ার ভূমিকা কি ছিল তা আলোচনা করবো। শিবাজীর মৃত্যুর পর মারাঠাদের মধ্যে যে প্রশাসনিক শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তিন পেশোয়ারের উত্থানে এবং নেতৃত্বর কারণে এই শূন্যতার পূরণ হয়েগিয়েছিল।
পেশওয়ার কথাটির অর্থ হল প্রধানমন্ত্রী। বিশেষ করে মারাঠি ভাষায় প্রধানমন্ত্রীকে পেশওয়ার বলা হয়। নিচে মারাঠা শক্তির উত্থানে তিন পেশওয়া যথাক্রমে বালাজি বিশ্বনাথ, বাজিরাও প্রথম এবং বালাজি বাজি রাও ভূমিকা আলোচনা করবো।
মারাঠা শক্তির উত্থানে তিন পেশওয়ার ভূমিকা কি ছিল?
সতের থেকে আঠারো শতকের মধ্যেবর্তী সময়ে মারাঠারা আঞ্চলিক স্তর থেকে জাতীয় স্তরে একটি শক্তিশালী শক্তি হিসাবে আবির্ভূত হয়েছিল। ছত্রপতি শিবাজীর মৃত্যুর পরে মারাঠা শক্তিকে একত্রিত ও সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন এই তিন পেশোয়ারা।
এদের সময়ে ভারতীয় উপমহাদেশের একটি বড় অংশ জুড়ে মারাঠা রাষ্ট্র বিস্তৃত লাভ করেছিল। মারাঠারা মূলত ছিল মহারাষ্ট্রের যোদ্ধা জাতি, তাদের কৌশলগত জোট ও সামরিক শক্তির বিকাশের মাধ্যমে এরা মারাঠি রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করতে পেরেছিলেন। এই তিন পেশোয়া মুঘল ও অন্যান্য আঞ্চলিক শক্তি কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন।
ক্রমিক সংখ্যা | পেশওয়ারের নাম | রাজত্ব শুরু | রাজত্ব শেষ |
1 | বালাজী বিশ্বনাথ | 1713 | 1720 |
2 | বাজি রাও প্রথম | 1720 | 1740 |
3 | বালাজি বাজি রাও | 1740 | 1761 |
4 | মাধবরাও প্রথম | 1761 | 1772 |
5 | নারায়ণরাও | 1772 | 1773 |
6 | রঘুনাথরাও | 1773 | 1774 |
7 | দ্বিতীয় মাধবরাও | 1774 | 1795 |
8 | বাজি রাও দ্বিতীয় | 1795 | 1818 |
🔥আরও পড়ুনঃ-
শিবাজীর মৃত্যুর পর
শিবাজী আপন শৌর্য, বীর্য ও প্রতিভার দ্বারা মারাঠা জাতির মধ্যে এক নব-জাগরণের সৃষ্টি করিয়াছিলেন এবং মারাঠা রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিয়াছিলেন। কিন্তু তাঁহার মৃত্যুর পর নানা কারণে সেই রাজ্যে দুর্বলতা দেখা দিতে লাগিল।
তাঁহার পুত্র শম্ভুজী মোগলদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করিয়াছিলেন সত্য, কিন্তু যথেষ্ট রাজনৈতিক দূরদর্শিতার পরিচয় না দিতে পারার ফলে তিনি ১৬৮৭ খ্রীষ্টাব্দে ঔরঙ্গজেবের হস্তে পরাজিত ও নিহত হন। তাঁহার পুত্র শাহু মোগলদের হস্তে বন্দী হন। কিন্তু মারাঠা শক্তিকে একেবারে পর্যুদস্ত করা ঔরঙ্গজেবের পক্ষে সম্ভব হইল না।
মারাঠাদের বিরোধিতা অব্যাহত
শম্ভুজীর ভ্রাতা রাজারাম এবং ১৭০০ খ্রীষ্টাব্দে তাহার মৃত্যুরপর তদীয় পত্নী তারাবাঈ আপন শিশুপুত্র তৃতীয় শিবাজীর পক্ষ হইয়া মোগলদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাইয়া গেলেন । এই সময় মারাঠাজতির মধ্যে আবার জাগরণ দেখা দেয়।
ঔরঙ্গজেবের ব্যর্থতা
ঔরঙ্গজেব তাঁহার সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিয়াও মারাঠা শক্তি দমনে ব্যর্থ হইলেন। মারাঠা বাহিনী নূতন নূতন অঞ্চলে তাহাদের আক্রমণ চালাইয়া গেল ; দাক্ষিণাত্যে ও উত্তর ভারতের কয়েকটি অঞ্চলে নূতন করিয়া তাহাদের প্রভুত্ব স্থাপিত হইল, ভারতের রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মারাঠাগণ প্রবল শক্তিরূপে দেখা দিল।
মারাঠাগণের আত্মকলহ
অতঃপর ঔরঙ্গজেবের মৃত্যুর পর মারাঠাশক্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির জন্য দিল্লী হইতে শম্ভুজীর পুত্র শাহুকে মুক্তি দেওয়া হইল। শাহু মহারাষ্ট্রে প্রত্যাবর্তন করিলে মারাঠা শক্তি তারাবাঈ ও শাহর মধ্যে বিভক্ত হইয়া গেল।
মারাঠা শক্তি আত্মকলহে দুর্বল হইয়া পড়িতে লাগিল। এই সময়ে শাহু কোঙ্কণের বালাজী বিশ্বনাথ নামে জনৈক দূরদর্শী ক্ষমতাবান ব্রাহ্মণের হস্তে শাসন ক্ষমতা অর্পণ করিলে মারাঠাজাতি আবার সঙ্ঘবদ্ধ ও শক্তিশালী হইয়া উঠিল।
পেশোয়াগণের নেতৃত্ব (The Peshwas):
বালাজী বিশ্বনাথ পেশোয়াতন্ত্রের সূচনা
বালাজী বিশ্বনাথ ছিলেন দরিদ্র ব্রাহ্মণবংশের সন্তান। কিন্তু আপন কৃতিত্ব ও প্রতিভার পরিচয় দিয়া তিনি শান্ত কর্তৃক রাজ্যের পেশোয়া পদে নিযুক্ত হন।
ক্রমে কর্তব্যনিষ্ঠা, রাজনৈতিক দূরদর্শিতা ও ক্ষমতার জোরে তিনিই রাজ্যের সর্বময় কর্তা হইয়া উঠিলেন। শাহ কেবলমাত্র নামে রাজা হিসাবে অধিষ্ঠিত রহিলেন। এই সময় হইতেই মারাঠা রাজ্যে ‘পেশোয়া-তন্ত্রের’ সূচনা হইল।
আভ্যন্তরীণ সংহতি রাজস্ব ও বৈদেশিক নীতি
আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বালাজী বিশ্বনাথ বিদ্রোহী সর্দারদের দমন করিয়া কুটনীতির সাহায্যে তারাবাঈ-এর পরিকল্পনা ব্যর্থ করিয়া মারাঠা জাতির সংহতি পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করিলেন। রাজস্ব বিভাগেও বিভিন্ন সংস্কার প্রবর্তন করিয়া তিনি মারাঠা জাতিকে অর্থ নৈতক ক্ষেত্রে ঐক্যবদ্ধ করিয়া তুলিলেন।
বৈদেশিক ক্ষেত্রেও তাঁহার সাফাল্য কম নহে। তিনি ধ্বংসোন্মুখ মোগল সাম্রাজ্যের উপর আঘাতের পর আঘাত হানিতে লাগিলেন এবং বিভিন্ন অঞ্চল হইতে ‘চৌথ’ ও ‘সরদেশমুখী’ আদায় করিতে আরম্ভ করিলেন।
সৈয়দ-ভ্রাতৃদ্বয়ের সহিত সন্ধি
অবশেষে ১৭১৪ খ্রীষ্টাব্দে বালাজীর সহিত সৈয়দ-ভ্রাতৃদ্বয়ের হুসেন আলীর সন্ধি হইল। মারাঠারাজ শাহু দক্ষিণাত্যের খান্দেশ, বেরার, ঔরঙ্গবাদ, বিদর, হায়দ্রাবাদ ও বিজাপুর এই ছয়টি লুবা হইতে ‘চৌধ ও ‘সরদেশমুখী’ আদায়ের অধিকার প্রাপ্ত হইলেন। ইহার বিনিময়ে তিনি মোগল সম্রাটকে বাৎসরিক কর প্রদান ও অশ্বারোহী সৈন্য দিয়া সাহায্য করিতে প্রতিশ্রুতি হইলেন ৷
সন্ধির সর্তাদি
এই সন্ধির ফলে শাহু মোগল সম্রাটের সার্বভৌমত্ব স্বীকার করিয়া লইলেন, মোগলদের সহিত শান্তি স্থাপিত হইল; সঙ্গে সঙ্গে দাক্ষিণাত্যে মারাঠাদের রাজনৈতিক প্রভুত্বও স্থাপিত হইল।
দাক্ষিণাত্যে ও উত্তরভারতে মারাঠাদের প্রভাব
ইহার পর সৈয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের বিরোধী দলকে দমন ও সম্রাট ফারুখশিয়ারকে সিংহাসনচ্যুত করিবার জন্য বালাজী হুসেন আলীর সহিত সসৈন্যে দিল্লী প্রবেশ করিলেন। এই সময় হইতে মারাঠাগণ দিল্লীর রাজনীতিতেও অংশ গ্রহণ করিতে আরম্ভ করিল।
বালাজী বিশ্বনাথের আমলে মারাঠাগণের মর্যাদা যেমন বৃদ্ধি পাইল, তেমনি তাহারা এক দুর্ধর্ষশক্তিতে পরিণত হইল। সেইজন্য তাঁহাকে মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠিতা বলিলেও অত্যুক্তি হয় না।
প্রথম বীজারাও (Baji Rao I):
বাজীরাও-এর শ্রেষ্ঠত্ব রাজনৈতিক আদর্শ
১৭২০ খ্রীষ্টাব্দে বালাজী বিশ্বনাথের মৃত্যু হইলে তাঁহার পুত্র প্রথম বীজারাও পেশায়ো হইলেন। সামরিক প্রতিভা, রাজনৈতিক দুরদৃষ্টি ও সুচতুর কুটনীতিবিদ হিসাবে তিনি পেশোয়াগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। মহারাষ্ট্রকে কেন্দ্র করিয়া সর্বভারতীয় এক অখণ্ড হিন্দুরাজ্য স্থাপন করাই তাঁহার রাজনৈতিক আদর্শ ছিল।
হিন্দু পাদ-পাদশাহী মোগল শক্তির সহিত সংঘর্ষ
তিনি তাঁহার এই অখণ্ড হিন্দু সাম্রাজ্য গঠনের বা ‘হিন্দুপাদ পাদশাহী’র পরিকল্পনা সমস্ত হিন্দু দলপতি ও রাজাদের সম্মুখে উপস্থিত করিলেন। কিন্তু এই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপান্তরিত করার পথে প্রধান অন্তরায় ছিল মোগল সাম্রাজ্য। সুতরাং কিছুদিনের মধ্যেই মোগল শক্তির সহিত তাঁহার সংঘর্ষ অনিবার্য হইয়া উঠিল ৷
সাম্রাজ্য বিস্তার দিল্লীর উপকণ্ঠে উপনীত
তাঁহার আদর্শ বাস্তবে রূপায়িত করিবার জন্য তিনি প্রথম হইতেই সাম্রাজ্য বিস্তারে মনোযোগী হইলেন। তিনি মালব, গুজরাট ও বুন্দেলখণ্ডের কিয়দংশ জয় করেন এবং কর্ণাট পর্যন্ত অভিযান প্রেরণ করেন। জয়পুরের দ্বিতীয় জয়সিংহ এবং বুন্দেলরাজ ছত্রশালের সহিত মিত্ৰতা স্থাপন করিয়া তিনি দিল্লীর উপকণ্ঠ পর্যন্ত অগ্রসর হইলেন।
নিজামের সহিত যুদ্ধ ও তাহার ফল
মোগল সম্রাট মোহম্মদ শাহ ভীত হইয়া হায়দ্রাবাদের নিজামের নিকট সাহায্যের জন্য আবেদন করিলে ১৭৩৮ খ্রীষ্টাব্দে নিজাম ও বাজীরাও-এর মধ্যে ভুপালের নিকট এক যুদ্ধ হয়। নিজাম পরাজিত হইয়া তাঁহার রাজ্যের কিয়দংশ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হন; অবশ্য দিল্লী সাময়িকভাবে রক্ষা পাইয়া গেল।
পর্তুগীজদের পরাজয় বাজীরাও-এর মৃত্যু
অপরদিকে মারাঠা বাহিনী পর্তুগীজদের পরাজিত করিয়া সলসেট ও বেসিন দখল করে। অতঃপর নাদির শাহের বিরুদ্ধে যখন তিনি হিন্দু ও মুসলমান রাজগণের সম্মিলিত শক্তি গড়িয়া তুলিতেছেন তখন অকস্মাৎ ১৭৪০ খ্রীষ্টাব্দে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন।
বালাজী বীজারাও (Balaji Baji Rao):
সাম্রাজ্যের দুর্বলতা ও জায়গীর প্রথা
প্রথম বাজীরাও-এর ১৭৪০ খ্রীষ্টাব্দে মৃত্যু হইলে তাঁহার পুত্র বালাজী বাজীরাও পেশোয়া পদ লাভ করেন ও রাষ্ট্রের সর্বাত্মক ক্ষমতা গ্রহণ করেন। ফলে তাঁহার বিরুদ্ধে তারাবাঈ ও বরোদার গাইকোয়াড় বিদ্রোহ করিলে তিনি তাহাদিগকে দমন করিতে সক্ষম হন।
রাজারামের সময় হইতেই মারাঠা সাম্রাজ্যের ভিত্তিতে ফাটল সৃষ্টি করা হইয়াছিল, জায়গীর প্রথা পুনঃপ্রবর্তন করিয়া মারাঠা শক্তির সাম্রাজ্য বিস্তারের একটিকে যেমন সাফল্য দেখা যাইতেছিল, অপরদিকে আভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে উহার সংহতি ক্রমেই বিনিষ্ট হইয়া যাইতেছিল।
সাম্রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যের উদ্ভব
ধীরে ধীরে কয়েকটি অঞ্চলে কয়েকটি শাসক-পরিবারের উদ্ভব হইল। যেমন— বেরারের ভোঁসলা, বরোদার গাইকোয়াড়, গোয়ালিয়রের সিন্ধিয়া, ইন্দোরের হোলকার, এবং মালবের অন্তর্গত ধার নামক অঞ্চলের পাবার।
ইহারা পেশোয়ার অধীন ছিল বটে, কিন্তু জনেই স্বাধীন কার্যকলাপ ও পরস্পরের মধ্যে স্বার্থবন্দে লিপ্ত হইয়া পড়িতেছিল। সময়ে সময়ে তাহারা পেশোয়ার ক্ষমতাকে উপেক্ষা করিত। এই সকল ঘটনার ফলে মারাঠা সাম্রাজ্যের সংহতি দ্রুত বিনষ্ট হইতে লাগিল।
বালাজী বাজীরাও-এর নীতি
বালাজী রাও তাঁহার পিতার ন্যায় সাম্রাজ্য বিস্তারে সচেষ্ট ছিলেন সত্য, কিন্তু কয়েকটি বিষয়ে তিনি তাঁহার অসুস্থতা নীতি হইতে বিচ্যুত হইয়া পড়িলেন।
সৈন্তবাহিনীর জাতীয়তার ভিত্তি বিনিষ্ট
প্রথমতঃ, হিন্দু ‘পাদ-পদশাহী আদর্শের উপরও তিনি যথেষ্ট গুরুত্ব দিলেন না তাঁহার সৈন্যবাহিনী হিন্দুদের রাজ্যও নির্বিচারে লুণ্ঠন করিয়া চলিল। ফলে সমস্ত হিন্দু ফলপতি ও রাজগণকে এক আদর্শে ঐক্যবদ্ধ করা অসম্ভব হইয়া পড়িল।
তিনি রাজপুত ও জাঠদের সহানুভূতি হইতেও বঞ্চিত হইলেন; এই জন্যই পানিপথের তৃতীয় যুদ্ধে রাজপুতগণ নিরপেক্ষ রহিয়া গেল। দ্বিতীয়তঃ, তিনি তাঁহার সৈন্য বাহিনীতে মুসলমান ও বিদেশী সৈন্য ও সেনাপতি নিয়োগ করিলেন; ইহাতে মারাঠা সৈনিকদের জাতীয়তাবোধ হ্রাস পাইতে লাগিল, তাহাদের ঐক্য ও সংহতিও বিনিষ্ট হইয়া গেল।
সামরিক অভিযান ও সাম্রাজ্য বিস্তার
কিন্তু এ সমস্ত সত্ত্বেও মারাঠা সাম্রাজ্য ভারতের রাজনৈতিক বিচ্ছিন্নতার সুযোগে চারিষিকে বিস্তৃত হইতে লাগিল। নিজাম ও মহীশূররা পরাজিত হইয়া তাঁহাদের রাজ্যের কিয়দংশ ছাড়িয়া দিতে বাধ্য হইলেন।
বেরারের ভেঁসিলা বাংলার নবাব আলিবর্দী খাঁর নিকট হইতে চৌথ আদায় করিলেন এবং উড়িষ্যা জয় করিলেন। পেশোয়ার ভ্রাতা রঘুনাথ রাও উত্তর ভারতে সামরিক অভিযান পর্যন্ত অঞ্চল দখল করিলেন। দিল্লীর সম্রাট শাহ আলম বালাজী রাও-এর হাতের পুতুলে পরিণত হইলেন। মারাঠা শক্তি ও মর্যাদা চরমে পৌছিল।
উপসংহার
উপরে আলোচিত মারাঠা শক্তির উত্থানে তিন পেশওয়ার ভূমিকা কি ছিল আলোচনা করে আমরা এটা বলতে পারি যে তিন পেশওয়া, বালাজি বিশ্বনাথ পেশওয়া, বাজিরাও প্রথম পেশওয়া এবং বালাজি বাজি রাও এর নেতৃত্ব, কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গি এবং সামরিক দক্ষতা মারাঠা সাম্রাজ্যেকে শক্তিশালি ও সাম্রাজ্যেকে প্রসারিত করতে সাহায্য করেছিল।
একটা উত্তাল রাজনৈতিকে স্থিতিবস্তায় নিয়ে এসে, মারাঠা সাম্রাজ্যের ইতিহাসের গতিপথকে সুরক্ষিত করার ক্ষেত্রে তাদের অবদান অনস্বীকার্য। তাদের কূটনৈতিক দক্ষতার কারণে মারাঠা শক্তি যে সুরক্ষিত ছিল তা বলায় শ্রেয়। আজ তাই ইতিহাসে তাদেরকে স্মরণ ও শ্রদ্ধা করা হয়ে থাকে।
FAQs তিন পেশওয়ার
প্রশ্ন: মারাঠাদের শেষ পেশোয়া কে ছিলেন?
উত্তর: মারাঠা সাম্রাজ্যের সর্বশেষ পেশোয়া ছিলেন দ্বিতীয় বাজি রাও।
প্রশ্ন: মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা কাকে বলা হয়?
উত্তর: বালাজি বিশ্বনাথকে মারাঠা সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাতা কাকে বলা হয়।
প্রশ্ন: মারাঠাদের প্রথম পেশোয়া কে ছিলেন?
উত্তর: প্রথম মারাঠা পেশোয়া ছিলেন প্রথম বাজিরাও।
প্রশ্ন: পেশোয়া তন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কে?
উত্তর: পেশোয়া তন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন প্রথম বাজি রাও।
প্রশ্ন: হিন্দু পাদ পাদশাহী কে প্রতিষ্ঠা করেন?
উত্তর: প্রথম বাজি রাও ছিলেন হিন্দু পাদ পাদশাহীর প্রতিষ্ঠাতা।