আলাউদ্দিন খলজির কৃতিত্ব ও চরিত্র

WhatsApp Group (Join Now) Join Now
Telegram Group (Join Now) Join Now
1.7/5 - (3 votes)

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আলাউদ্দিন খলজির কৃতিত্ব ও চরিত্রর উপর আলোকপাত করবো। তার সামরিক সাফল্যের জন্য তিনি ভারতীয় ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করলেও তার প্রথম জীবন ছিল সম্পূর্ণ আলাদা।

তাঁর স্বপ্ন ছিল নবী অথবা আলেকজান্ডার হবার, কিন্তু পরে তিনি নিজেকে পরিবর্তন করেন একজন অত্যন্ত উচ্চাভিলাষী শাসক হিসাবে। তিনি তার শাসনকালে সামরিক, প্রশাসনিক, ও অর্থনৈতিতে সংস্কার নিয়ে এসেছিলেন। তিনি প্রথম শাসক যিনি সৈন্যদের জন্য বেতন ব্যাবস্থার চালু করেন এবং উত্তর থেকে দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত সামরিক অভিযানের পরিচালনা কারনে।

আলাউদ্দিন খলজির কৃতিত্ব ও চরিত্র

এক নজরে

খলজি রাজবংশের দ্বিতীয় এবং শ্রেষ্ঠ শাসক আলাউদ্দিন খলজির কিছু উল্লেখযোগ্য কৃতিত্ব নিচে আলোচনা করা হল-

সামরিক সাফল্য:

তিনি তার সাম্রাজ্যকে প্রায় মধ্য ভারত ও মালওয়া পর্যন্ত বিস্তৃত করে ছিলেন। তিনি তার সামরিক ব্যবস্থাকে সু-কৌশলে ব্যবহার করেন। তিনি দিল্লি সালতানাতকে দুর্ধর্ষ মঙ্গোল জাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা করেছিলেন। তিনি আঞ্চলিক বিদ্রোহকে দমন করে গুজরাট, মালওয়া সহ দক্ষিণ ভারত পর্যন্ত তার সাম্রাজ্যকে বিস্তার করেছিলেন।

প্রশাসনিক সংস্কার:

আলাউদ্দিন খলজির একটি বড় অবদান হল তার প্রশাসনিক সংস্কার। তিনি একটি বৃহৎ কেন্দ্রীভূত শাসন ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করেন। এর জন্য গুপ্তচর নিয়োগ, সামরিক কাঠামোর পুনর্গঠন এবং কৌশলগত দুর্গ স্থাপন করেন।

অর্থনৈতিক সংস্কার:

আলাউদ্দিন খলজি আর্থিক স্থিতিশীলতা আনতে বাজার দর নিয়ন্ত্রণের উপর জোর দেন । এর জন্য মূল্য নিয়ন্ত্রণ, অর্থনীতি স্থিতিশীলতা, মুদ্রাস্ফীতি রোধ, বাজারের নিয়মকানুনের পরিবর্তন করেন। এছাড়া তিনি রাজস্ব সংস্কারের জন্য “খালিসা” ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন।

কৃষি সংস্কার:

আলাউদ্দিন খলজি কৃষি ক্ষেত্রে উৎপাদন বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করেন। তিনি অনাবাদি জমিকে চাষ যোগ্য জমিতে রূপান্তরিত করেন এবং কৃষি উৎপাদনশীলতা বাড়াতে কৃষকদের ঋণের ব্যবস্থা করেন। সেচ ব্যবস্থার উন্নতি সাধনের জন্য তিনি খাল ও জলাধারও নির্মাণ করেন।

শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা:

তার সভা স্থলে পণ্ডিত, কবি এবং শিল্পীদের স্থান ছিল। তার সভা স্থলে আমির খসরু-এর মতো বিশিষ্ট কবিদের দেখা মিলতো। তার শিল্প ও সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক আবহ তৈরি করেছিল।

দিল্লি সালতানাতকে শক্তিশালী করা:

আলাউদ্দিন খলজির আঞ্চলিক বিদ্রোহ থেকে তার সাম্রাজ্যকে স্থিতিশীলতা এনেছিলেন। তার সামরিক বিজয় এবং প্রশাসনিক সংস্কার দিল্লি সালতানাতকে আরো শক্তিশালি এবং দীর্ঘায়ু করেতুলে ছিল।

চরিত্র বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে ঐতিহাসিকগণের মধ্যে মতভেদ

মধ্য যুগীয় অনেক স্বৈরাচারী শাসকের ন্যায় আলাউদ্দিনের চরিত্রেও দোষ ও গুণ উভয়েরই অদ্ভুত সমাবেশ দেখা গিয়াছিল । এই জন্যই সমসাময়িক ঐতিহাসিকগণের মধ্যেও তাঁহার চরিত্র বিচারে যথেষ্ট মতভেদ দেখা যায় ৷ ঐতিহাসিকগণ তাঁহার কার্যাবলীর বিভিন্ন দিকের উপর জোর দিয়া বিভিন্নভাবে তাঁহার চরিত্র অঙ্কিত করিয়াছেন।

ইবন বতুতার মত

আফ্রিকা হইতে আগত পর্যটক ইবন বতুতা আলাউদ্দিনকে দিল্লীর শ্রেষ্ঠ সুলতানগণের অন্যতম বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন ।

“The African traveller Ibn Batuta in the fourteenth century expressed the opinion that Ala ud din deserved to be considered one of the best Sultan. ” – Smith.

এলফিনস্টোনের অভিনত

বর্তমান যুগের ঐতিহাসিক এলফিনস্টোন সাধারণ ভাবে ইবন বতুতার মন্তব্যকে সমর্থন করিয়া আলাউদ্দিনকে আদর্শ নরপতি-রূপে অভিহিত করিয়াছেন।

আলাউদ্দিনের চরিত্র সম্বন্ধে বারণির মন্তব্য

কিন্তু বিখ্যাত ঐতিহাসিক জিয়াউদ্দিন বারণির মন্তব্যকেই তিনি সত্য বলিয়া মনে করেন। বারণি আলাউদ্দিনকে নিষ্ঠুর, চক্রান্তকারী, একগুঁয়ে ও ক্ষণক্রোধী সুলতান বলিয়া অভিহিত করিয়াছেন।

“He was bad tempered, obstinate and hard-hearted, but the world smiled on him, fortune befriended him and his schemes were generally became uneffective; So he only became the more reckless and arrogant. He shed more innocent blood than Pharoh was guilty of.”-Barani.

ডক্টর স্মিথ

ডক্টর স্মিথ আলাউদ্দিনের রাজত্বকাল সম্বন্ধে ইবন বতুতার ‘অদ্ভুত ‘ও আশ্চর্যজনক’ উক্তি সমর্থন না করিয়া বলিয়াছেন যে প্রকৃত পক্ষে আলাউদ্দিনের সমস্ত কার্যকলাপ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে তিনি একজন বর্বর ও অত্যাচারী ছিলেন এবং তাঁহার রাজত্বকাল ছিল কলঙ্কে মসিলিপ্ত ।

That somewhat surprising verdict is not justified either by the manner in which Ala-ud din attained power by history of his acts of Sultan….In reality he was parti- cularly a savage tyrant with very little regard for justice and his reign…was exceedingly disgraceful in many respects.”-Smith.

কিন্তু নিরপেক্ষ ভাবে বিচার করিলে দেখা যাইবে যে ইবন বতুতা ও জিয়াউদ্দিনের মন্তব্যগুলি আংশিকভাবে সত্য এবং একটি অপরটির পরিপুরক।

🔥আরও পড়ুনঃ-

👉 আলাউদ্দিন খলজির বাজার নিয়ন্ত্রণ ও শাসননীতি

আলাউদ্দিনের চরিত্রের ত্রুটি

এ কথা সত্য যে আলাউদ্দিন ছিলেন একজন স্বৈরাচারী শাসক, তাঁহার আকাঙ্ক্ষা ছিল সীমাহীন এবং তিনি ন্যায়-অন্যায়ের ধার ধারিতেন না ।

পিতৃব্য জালালউদ্দিনকে হত্যা, প্রচুর রক্তপাতের মধ্য দিয়া তাঁহার সিংহাসনকে নিরঙ্কুশ করিবার বর্বর নীতি, অকৃতজ্ঞতার পরাকাষ্ঠা দেখাইয়া জাফর খাঁর মৃত্যুতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলা, একদিনে ত্রিশ হাজার নব্য-মুসলমানের প্রাণ সংহারের নির্মম আদেশ—এ সমস্তই হইল তাহার চরিত্রের বৈশিষ্ট্য।

স্বার্থপর, সংকীর্ণমনা, নিষ্ঠুর, অকৃতজ্ঞ

সময়ে সময়ে তিনি ছিলেন ঘোর স্বার্থপর ও সঙ্কীর্ণমনা। অর্থ নৈতিক নিষ্পেষণ নীতির মধ্য দিয়া তাঁহার অত্যাচারী রূপটিও ধরা পড়ে, এবং এই দিকে লক্ষ্য রাখিয়াই বারণি তাঁহাকে নিষ্ঠুর, পাপাচারী, অকৃতজ্ঞ ও অত্যাচারী বলিয়া বর্ণনা করিয়াছেন। তথাপি আলাউদ্দিনের চরিত্রের কয়েকটি ভাল গুণও ছিল, এবং তাঁহার রাজত্বের কয়েকটি সুফলও দৃষ্ট হইয়াছিল।

চরিত্রের সদগুণ সমূহ ক্যাভেলের মত

তাঁহার এই রাজনৈতিক সাফল্যের দিকে লক্ষ্য রাখিয়া ইবন বতুতা ও এলফিনষ্টোন তাঁহার শাসনকে মঙ্গলজনক ও ন্যায়পরায়ণ বলিয়াছেন। ঐতিহাসিক হাভেল আলাউদ্দিনের চরিত্রের দুইটি দিকই স্বীকার করিয়াছেন। “Alauddin represented in his own person the uncomprising barbarity of the Turkish despot, but policy was good.”-Havell.

আলাউদ্দিনের কৃতিত্ব রাজনৈতিক ঐক্য

আলাউদ্দিন ছিলেন একজন শক্তিশালী নরপতি, নির্ভীক সৈনিক ও সুদক্ষ সেনাপতি। তাঁহার উচ্চাকাঙ্ক্ষাও ছিল, অধ্যবসায়ও ছিল। তাঁহার প্রতিটি সামরিক অভিযানই সাফল্য লাভ করিয়াছিল।

উত্তর ভারতের সমস্ত রাজ্য তিনি জয় করিয়াছিলেন, দাক্ষিণাত্যের প্রতিটি রাজ্য তাঁহার আনুগত্য স্বীকার করিতে বাধ্য হইয়াছিল। তাঁহার সামরিক শক্তির জোরে প্রায় সমগ্র ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল ।

সামরিক সংগঠন ও শাসনতন্ত্র

তিনি সামরিক শক্তিকে নূতন করিয়া সংগঠিত করিয়াছিলেন। গিয়াস- উদ্দিন বলবন যে মুসলমান সামরিক পদ্ধতির গোড়া পত্তন করিয়াছিলেন, আলাউদ্দিন তাহার চরম উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন ।

এইরূপে তিনি ভারতে মুসলমান আধিপত্যের নিরাপত্তা বিধান করিয়া গিয়াছিলেন। কেবলমাত্র সাম্রাজ্য বিস্তার করিয়াই তিনি ক্ষান্ত হন নাই; শাসনযন্ত্রকেও উন্নত ও শক্তিশালী করিবার জন্য তিনি সর্বপ্রকারে চেষ্টা করিয়াছেন।

মোঙ্গল আক্রমণ দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিহত করিবার জন্য তিনিই প্রথম কার্যকরী ব্যবস্থা অবলম্বন করিয়া উত্তর-পশ্চিম ভারত রক্ষা করিয়াছিলেন। দস্যুদমন করিয়া, অভিজাত শ্রেণীর স্বেচ্ছাচার ও রাজকর্মচারিগণের উচ্ছৃঙ্খলতা নিয়ন্ত্রিত করিয়া তিনি দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন।

ধর্ম-নিরপেক্ষ শাসন- ব্যবস্থা প্রবর্তনের প্রয়াস

ধর্ম ও রাজনীতির মধ্যে পার্থক্য মুসলমান সুলতানগণের মধ্যে তিনিই সর্বপ্রথম বুঝিয়াছিলেন। রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গিকে তিনি ধর্মভাব দ্বারা আচ্ছন্ন হইতে দেন নাই; কাজী ও উলেমাদের নিকট হইতে তাই তিনি কোন নির্দেশ গ্রহণ করিতেন না।

তাঁহার সুদক্ষ ও সুদৃঢ় শাসনব্যবস্থায় তিনি ন্যায় বিচার বিতরণ করিবার জন্যই চেষ্টা করিয়া গিয়াছেন। ধর্মনিরপেক্ষ শাসনব্যবস্থার ইহাই ছিল প্রথম পদক্ষেপ ৷

শিল্প-সাহিত্যের পৃষ্ঠপোষকতা

আলাউদ্দিনের শাসনব্যবস্থায় শিল্প ও সংস্কৃতির প্রতি দৃষ্টি ছিল । তাঁহার রাজত্বকালেই আমীর খসরু, হাসান প্রভৃতি কবি ও সাহিত্যিকদের উদ্ভব হইয়াছিল। তিনি ছিলেন শিল্প, সাহিত্য ও স্থাপত্য শিল্পের পৃষ্ঠপোষক।

কুতুব মসজিদকে আরও বড় করিয়া নির্মাণ করিবার কাজ তিনি শুরু করিয়াছিলেন; কুতুব মিনারের দ্বিগুণ আকারের একটি মিনার নির্মাণের পরিকল্পনা ও তাঁহার ছিল । আলাউদ্দিনের কার্যাবলী সামগ্রিক ভাবে দেখিলে বোঝা যায় মুসলমানগণ তাঁহার সময় হইতেই ভারতীয় মুসলমানে রূপান্তরিত হইয়া যাইতেছিল ।

“The policy of Ala-ud-din expressed to some extent the process of evolution by which the typical Indian Moslem came to regard Indian as his spiritual home.”-Havell.

শ্রেষ্ঠ সুলতানদের অন্যতম

এ কথা সত্য যে ব্যক্তিগত ভাবে তিনি সংকীর্ণতা, নীচতা ও নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়াছেন । তাঁহার প্রবর্তিত শাসনব্যবস্থায় তিনি প্রজাবর্গের সমর্থন লাভের কোন চেষ্টা করেন নাই। কিন্তু তবুও বিভিন্ন দিকে তাঁহার সাফল্য সুস্পষ্ট। তাঁহার সাফল্যের নিরপেক্ষ বিচার করিলে তাঁহাকে দিল্লীর শ্রেষ্ঠ তুর্কী সুলতানদের অন্যতম বলিয়া অভিহিত করাই স্বাভাবিক ।

উপসংহার

উপরে আলোচ্য আলাউদ্দিন খলজির কৃতিত্ব ও চরিত্র এর মাধ্যমে আমরা দেখতে পায় সমগ্র মধ্য ভারত এবং মালওয়া তার সাম্রাজ্যের অধীনস্ত ছিল। এটায় বলা যায় যে তার সময়ে সালতানাতের ব্যাপক সমপ্রসার ঘটে।

একথা সত্য যে তিনি এক স্বৈরাচারী শাসক ছিলেন, তার বর্বরতা ও অত্যাচারে অনেকে রুষ্ট হতেন, তার কলঙ্কিত অধ্যায় ছিল একদিনে ৩০ হাজার নব্য-মুসলমানের প্রাণনাসের আদেশ।তবে তার নির্ভীক ও সুদক্ষতার মাধ্যমে ভারতের ইতিহাসে তিনি এক জন ক্ষমতাবান শাসক হিসাবে স্থান দখল করে আছেন।

FAQs আলাউদ্দিন খলজির কৃতিত্ব

প্রশ্ন: আলাউদ্দিন খলজির আমলে কি তৈরি হয়েছিল?

উত্তর: 70 একর এলাকা জুড়ে হাউজ-ই-আলাই নামক একটি জলাধার নির্মাণ করেন।

প্রশ্ন: আলাউদ্দিন তার বিশাল সেনাবাহিনীকে সমর্থন করার জন্য কি করেছিলেন?

উত্তর: আলাউদ্দিন তার বিশাল সেনাবাহিনীর সমর্থন পাওয়ার জন্য সৈন্যদের নগদ বেতনের ব্যাবস্থা করেন।

প্রশ্ন: আলাউদ্দিন খলজির প্রকৃত নাম কি?

উত্তর: আলাউদ্দিন খলজির প্রকৃত নাম জালালউদ্দিন খিলজি।

প্রশ্ন: খিলজি বংশের শেষ শাসক কে ছিলেন?

উত্তর: খিলজি বংশের শেষ শাসক ছিলেন কুতুবউদ্দিন মুবারক শাহ খিলজি।

প্রশ্ন: খলজি বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট কে ছিলেন?

উত্তর: আলাউদ্দিন খলজিকে খলজি বংশের শ্রেষ্ঠ সম্রাট হিসাবে গণ্য করা হয়।

প্রশ্ন: আলাউদ্দিন খলজির সেনাপতি কে ছিলেন?

উত্তর: মালিক কাফুর ছিলেন আলাউদ্দিন খলজির একজন উল্লেখযোগ্য সেনাপতি।

প্রশ্ন: অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ শাসক কে ছিলেন?

উত্তর: মেহমেদ ষষ্ঠ ওয়াহিদউদ্দিন ছিলেন অটোমান সাম্রাজ্যের শেষ শাসক।

Hey, My Name is Priyanka From Diamond Harbour, West Bengal & I Have Been Blogging Since 3 Years Ago. I Have 10+ Websites Which I Manage by Myself. I completed my graduation in philosophy.

Leave a Comment