আলাউদ্দিন খলজির সিংহাসন আরোহন ও দক্ষিণ ভারত অভিযান

WhatsApp Group (Join Now) Join Now
Telegram Group (Join Now) Join Now
Rate this post

এই আর্টিকেলের মাধ্যমে মধ্যযুগীয় ভারতে খলজি রাজবংশের অন্যতম প্রধান শাসক আলাউদ্দিন খলজির সিংহাসন আরোহন ও দক্ষিণ ভারত অভিযান সম্পর্কে আলোচনা করব।

বাল্যকালে আলাউদ্দিন খলজির নাম ছিল আলী বা আলীগুরশাপ। ১২৬৬ খ্রিস্টাব্দে তার জন্ম তুর্কি মুসলিম রাজবংশে যেটি অবস্থিত ছিল সিরসায় (বর্তমান আফগানিস্তানে) নামক স্থানে।

রুকনুদ্দিন ইব্রাহিমকে সরিয়ে 3 অক্টোবর1296 খ্রিস্টাব্দে বলবনের লাল ভবনে দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের উপাধি গ্রহণের মাধ্যমে তার রাজ্যাভিষেক হয়েছিল। আলাউদ্দিন খলজি মূলত তার অভিযান ও বিভিন্ন সংস্কারের জন্য প্রসিদ্ধ।

আলাউদ্দিন খলজির সিংহাসন আরোহণ (Alauddin’s Accession to the Throne):

এক নজরে

জালাল-উদ্দিনের ভ্রাতুষ্পুত্র জামাতা কারার শাসনকর্তা

দিল্লীর তুর্কী-আফগান সুলতানগণের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ বলিয়া বিবেচিত আলাউদ্দিন খলজী স্বাভাবিকভাবে সিংহাসন লাভ করেন নাই; তিনি ছিলেন খলজীবংশের প্রথম সুলতান জালাল-উদ্দিনের ভ্রাতুষ্পুত্র।

জালাল-উদ্দিন তাঁহাকে অত্যন্ত স্নেহ করিতেন এবং জামাতারূপে বরণ করিয়া তাঁহাকে কারা-মাণিকপুরের শাসনকর্তা নিয়োগ করেন।

সিংহাসন দখলের জন্য শক্তিবৃদ্ধি

তিনি ছিলেন কর্মঠ, কষ্ট-সহিষ্ণু, উচ্চাভিলাষী এবং সেনানায়ক হিসাবে দুর্ধর্ষ। সেইজন্য অনেক উচ্চাভিলাষী ব্যক্তি ও খলজী সৈনিক তাঁহার প্রতি আকৃষ্ট হয়।

কারার অনেক বিদ্রোহ-ভাবাপন্ন মালিক ও আমীরগণ তাঁহাকে সিংহাসন অধিকার করিবার জন্য প্ররোচনা দিতে লাগিলেন। আলাউদ্দিন উপযুক্ত সময়ের প্রতীক্ষা করিতে লাগিলেন এবং সঙ্গে সঙ্গে অনুচরবর্গের সংখ্যা বুদ্ধি করিয়া আপন শক্তি বাড়াইয়া চলিলেন ।

দেবগিরি আক্রমণ লুণ্ঠন, সুলতানকে হত্যা

১২৯৪ খ্রীষ্টাব্দে তিনি সুলতানের অনুমতি না লইয়াই এক বিরাট সৈন্য- বাহিনী সহ অকস্মাৎ দাক্ষিণাত্যের দেবগিরি রাজ্য আক্রমণ করিলেন। তথাকার যাদব বংশীয় রাজা রামচন্দ্রকে পরাজিত করিয়া প্রচুর ধনদৌলত সহ তিনি কারায় প্রত্যাবর্তন করিলেন ।

আলাউদ্দিন এখন যথেষ্ট শক্তির অধিকারী হইলেন। সুতরাং যখন তাঁহার স্নেহান্ধ পিতৃব্য জালাল-উদ্দিন তাঁহাকে অভিনন্দন জানাইবার জন্য কারায় আগমন করিবার সিদ্ধান্ত জানাইলেন, তখন তিনি এই সুযোগ হারাইলেন না; তাঁহার ষড়যন্ত্রে জালাল-উদ্দিন নিহত হইলেন । সঙ্গে সঙ্গে ১২৯৬ খ্রীষ্টাব্দে আলাউদ্দিন নিজেকে দিল্লীর সুলতান বলিয়া ঘোষণা করিলেন।

নানা বিরোধিতার সম্মুখীন

কিন্তু আলাউদ্দিন কতকগুলি জটিল সমস্যার সম্মুখীন হইলেন । পিতৃব্যকে হত্যা করিবার ফলে তিনি অনেকেরই ঘুণার পাত্র হইয়া উঠিয়া- ছিলেন। জালাল-উদ্দিনের অনুগত আমীরগণ তাঁহার বিরোধিতা করিবার জন্য প্রস্তুত হইলেন, এবং তাহাদেরই সহযোগিতায় জালাল-উদ্দিনের পুত্রগণ দিল্লীর সিংহাসনে আরোহণের জন্য প্রস্তুত হইলেন।

প্রতিপক্ষের দুর্বলতার সুযোগ গ্রহণ চরম নিষ্ঠুরতা

কিন্তু হুকৌশলী আলাউদ্দিন প্রথমেই অর্থের প্রলোভনে কিছু কিছু আমীরকে বশীভূত করিলেন । জালাল-উদ্দিনের পুত্রগণের মধ্যেও ঐক্য ছিল না। আলাউদ্দিন সসৈন্যে দিল্লীতে উপস্থিত হইয়া তাহাদের পরাজিত করিলেন এবং সিংহাসনে আরোহণ করিলেন।

অতঃপর বিরুদ্ধবাদীদের আতঙ্কগ্রস্ত করিবার জন্য তিনি নিষ্ঠুরতার চরম পরাকাষ্ঠা দেখাইলেন ৷ জালাল-উদ্দিনের পুত্রদের চক্ষু উৎপাটিত হইল, তাহাদের মাতা বন্দিনী হইলেন। জালাল-উদ্দিনের যে সকল অনুচর অর্থের লোভে আলাউদ্ধিনের পক্ষে যোগদান করিয়াছিল তিনি তাহাদের প্রতিও কঠোর শাস্তিবিধান করিলেন।

কারণ যাহারা অর্থের লোভে পক্ষ পরিবর্তন করে, তাহারা কখনই বিশ্বাসভাজন হইতে পারে না–এ-কথা আলাউদ্দিন ভাল ভাবেই জানিতেন। এইভাবে নিষ্কণ্টক হইয়া তিনি রাজ্যের অন্যান্য সমস্যার দিকে মনোনিবেশ করিলেন।

🔥আরও পড়ুনঃ-

👉 সুলতান মাহমুদ ও মুহাম্মদ ঘুরীর অভিযান এর মধ্যে পার্থক্য

মোঙ্গল আক্রমণ (Mongal Raids):

মোঙ্গল আক্রমণের কঠিন সমস্যা

সিংহাসন নিষ্কণ্টক হইলেও আলাউদ্দিনের সমস্যার জটিলতার অবসান হইল না । আভ্যন্তরীণ গোলযোগ ও বিদ্রোহ ছাড়াও তাঁহাকে তীব্রতর মোঙ্গল আক্রমণের সম্মুখীন হইতে হইল । দিল্লীর সুলতানের নিকট বহু দিন ধরিয়াই ইহা একটি কঠিন সমস্যা ছিল। আলাউদ্দিনের সৈন্যবাহিনীর নিকট তাহারা এবার দারুণভাবে পরাজিত হইতে লাগিল ৷

মোঙ্গলদের পরাজয়

১২৯৬ হইতে ১৩০৮ খ্রীষ্টাব্দের মধ্যে মোঙ্গলগণ তাহাদের অর্ণব নেতা আমীর দাউদ জলদি (Saldi ), কুৎলুদ খাজা, ইকবাল মন্দ, প্রভৃতির নেতৃত্বে বার বার ( ৫/৬ বার ) ভারত আক্রমণ করে।

প্রথম দিকে উত্তর-পশ্চিম ভারতের শাসনকর্তা জাফর খার নিকট তাহারা কয়েকবার পরাজিত হয়। তাহাদের তৃতীয় অভিযান ব্যর্থ করিতে যাইয়া জাফর খা-র মৃত্যু হইলে, আলাউদ্দিন সুযোগ্য নেতৃত্বের অধীনে এক বিরাট বাহিনী এই কাজে নিযুক্ত রাখেন।

সীমান্তের বহু দুর্গ নির্মাণ

উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত সংরক্ষণের জন্য তিনি সামান ও দীপালপুর নামক স্থানে দুইটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেন। ইহা ছাড়াও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে তিনি একসারি দুর্গ নির্মাণ করেন এবং পুরাতন দুর্গগুলির সংস্কার সাধন করেন। পাঞ্জাবের শাসনকর্তা মালিক গাজীকে সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়।

মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধের ফল

মোঙ্গলগণ বার বার পরাজিত হইয়া ভারত আক্রমণের নেশা ত্যাগ করিল; হিন্দুস্থান সম্বন্ধে তাহাদের মনে এক দারুণ ভীতির সৃষ্টি হয়। ইহার ফলে এদিকে যেমন উত্তর-পশ্চিম ভারতের অধিবাসিগণ স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলিল, অপরদিকে তেমনি আলাউদ্দিন আরও অধিক রাজ্যজয়ে মনোনিবেশ করিতে পারিলেন । মোঙ্গল আক্রমণ প্রতিরোধ আলাউদ্দিনের রাজত্বের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় ।

উত্তর ভারত জয় (Conquests in Northern India):

যুদ্ধ লিপ্পা রাজ্য জয়ের নীতি

প্রথম জীবনে মালৰ ও দেবগিরির বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানে সাফল্য লাভ করিয়া আলাউদ্দিন আত্মবিশ্বাসী ও যুদ্ধলিপ্স হইয়া উঠিয়াছিলেন। রাজ্য জয়ের আকাঙ্ক্ষাও তাঁহার মধ্যে তীব্র হইয়া উঠেতেছিল।

বহুবিধ সংস্কার সাধন করিয়া তিনি এক শক্তিশালী স্যৈবাহিনী গড়িয়া তুলিলেন এবং উপযুক্ত সামরিক কর্মচারিগণকে সেই বাহিনী পরিচালনা করিবার দায়িত্ব অর্পণ করিলেন। তিনি আলেকজাণ্ডারের ন্যায় পৃথিবী বিজেতা হইবার স্বপ্নও দেখিতে লাগিলেন ।

“Ala-ud-din.dreamed of spiritual as well as material conquest. In the latter he sought to surpass Alexander of Macedon and in the former Muhammad”-Woolsey Haig (Vide the Cambridge History of India), স্যার উলসি হেইগের মতে এই সময় হইতেই দিল্লীর সুলতানির সাম্রাজ্যবাদী যুগের সূত্রপাত হয় (Imperial period of the Sultanate).

গুজরাটের বিরুদ্ধে অভিযান

আলাউদ্দিনের মূল উদ্দেশ্য ছিল সমগ্র উত্তর ভারতে এক সার্বভৌম রাজশক্তি প্রতিষ্ঠা করা। (ক) ১২৯৭ খ্রীষ্টাব্দে তিনি তাঁহার সুযোগ্য সেনাপতি উলুগ খাঁ ও নসরৎ খার অধিনায়কত্বে গুজরাটের রাজা কর্ণদেবের বিরুদ্ধে প্রথম অভিযান প্রেরণ করেন।

কর্ণদের পলায়ন করিলে তাঁহার রাজধানী অনহিলবার বিধ্বস্ত ও লুণ্ঠিত হইল ; সৈন্যবাহিনী রাণী কমলাদেবী ও কাফুর নামক এক খোজাকে বন্দী অবস্থায় দিল্লীতে লইয়া আসিল। এই কাফুরই পরবর্তী যুগে আলাউদ্দিনের সেনাপতি ও মন্ত্রীপদে উন্নীত হইয়াছিল।

রণত্তোর ও মেবার জয়

(খ) অতঃপর তাঁহার দ্বিতীয় অভিযান পরিচালিত হয় রণথম্ভোরের রাজা হামিরদেবের বিরুদ্ধে। দীর্ঘ এক বৎসর যুদ্ধ-বিগ্রহের পর রণথম্ভোর অধিকৃত হয়।

চিতোর আক্রমণের কারণ

(গ) অতঃপর আলাউদ্দিন রাজপুতানার শ্রেষ্ঠ রাজ্য মেবার আক্রমণে সাহসী হইলেন । ১৩০৩ খ্রীষ্টাব্দে তিনি স্বয়ং মেবারের রাজধানী চিতোরের বিরুদ্ধে অগ্রসর হইলেন ।

কথিত আছে যে রাজা রতন সিংহের মহিষী পদ্মিনীর রূপে আকৃষ্ট হইয়াই তিনি চিতোর আক্রমণ করিয়াছিলেন এবং নিজ সম্মান রক্ষা করিবার জন্য শেষ পর্যন্ত পদ্মিনী জহর ব্রত অবলম্বন করিয়া আত্মবিসর্জন দিয়াছিলেন।

‘পদ্মিনী’ উপাখ্যান সম্বন্ধে মতভেদ

পদ্মিনীর উপাখ্যান ফেরিস্তা কর্তৃক উল্লিখিত হইয়াছে; বর্তমান যুগে কর্ণেল টডও তাঁহার পুস্তকে এই কাহিনী লিপিবদ্ধ করিয়াছেন। কিন্তু আধুনিক ঐতিহাসিকগণ, বিশেষ করিয়া ঐতিহাসিক ওঝা (O. H. Ojha) এবং লাল (K. S. Lal) পদ্মিনী সংক্রান্ত এই কাহিনীর সত্যতা সম্বন্ধে সন্দেহ প্রকাশ করিয়াছেন।

কারণ সমসাময়িক রাজপুত বিবরণীতে উহার কোন উল্লেখ নাই। পদ্মিনী বলিতে হয়ত কোন বিশেষ মহিলাকে বুঝায় না, সাধারণভাবে রূপসী নারীদেরকেই বুঝাইয়া থাকে ।

সম্ভবতঃ মেবার অভিযানের পশ্চাতে আলাউদ্দিনের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল রাজপুতানায় দিল্লীর প্রভুত্ব স্থাপন করা । যাহাই হোক, রাজপুতদের সমস্ত বীরত্ব ব্যর্থ করিয়া দীর্ঘ পাচ মাস পর আলাউদ্দিন চিতোর অধিকার করেন।

মালব ও মারওয়ার জয়

(ঘ) ১৩০৫ খ্রীষ্টাব্দে মালবের বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরিত হইলে মালবরাজ হরনন্দ পরাজিত হন; অতঃপর উজ্জয়িনী, ধার, মাগু ও চান্দেরী একে একে অধিকৃত হয়।

(ঙ) ১৩০৮ খ্রীষ্টাব্দে মারওয়ার-এর বিরুদ্ধে এক অভিযান প্রেরণ করিয়া তিনি দিওয়ানা দুর্গ ছাড়া রাজ্যের অবশিষ্টাংশ দিল্লী সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করিয়া লইলেন। এইরূপে সমগ্র উত্তর ভারতে আলাউদ্দিনের সাম্রাজ্য বিস্তৃত হইয়া পড়িল।

দক্ষিণ ভারত জয় (Conquests in Southern India):

দাক্ষিণাত্যের অবস্থা জালাউদ্দিনের উদ্দেশ্য

উত্তর ভারত জয় সমাপ্ত করিয়া আলাউদ্দিন দক্ষিণ ভারতের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। দাক্ষিণাত্যের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র রাজ্যগুলির মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব আলাউদ্দিনের নিকট সুযোগ হিসাবে দেখা দিল।

১২৯৬ খ্রীষ্টাব্দে সিংহাসনে আরোহণের পূর্বেই আলাউদ্দিন সর্বপ্রথম দাক্ষিণাত্যে মুসলমান বাহিনী পরিচালনা করিয়াছিলেন— দেবগিরির বিরুদ্ধে।

এখন ধনদৌলত লুণ্ঠনের জন্য এবং সমগ্র ভারতে মুসলমান আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি পুনরায় কাকুরের নেতৃত্বে দাক্ষিণাত্যের বিভিন্ন রাজ্যের বিরুদ্ধে পর পর অভিযান প্রেরণ করিতে লাগিলেন।

দেবগিরির বিরুদ্ধে কাফুর

(ক) ১৩০৬ খ্রীষ্টাব্দে তিনি আবার দেবগিরির বিরুদ্ধে অভিযান প্রেরণ করেন। দেবগিরির রাজা রামচন্দ্র কেবলমাত্র যে বাৎসরিক কর দেওয়া বন্ধ করিরাছিলেন তাহাই নয়, তিনি গুজরাটের রাজা কর্ণদেবকে পর্যন্ত আশ্রয় দিয়াছিলেন। কিন্তু কাকুরের দুর্ধর্ষ বাহিনীর দ্বারা পরাজিত হইয়া তিনি বশ্যতা স্বীকার করিতে বাধ্য হইলেন।

বরঙ্গল রাজ্য, হোয়সল রাজ্য

(খ) ঐ সমর বরঙ্গল রাজ্যের রাজা ছিলেন কাকতীয় বংশের প্রতাপরুদ্রদেব। ১০০৮ খ্রীষ্টাব্দে কাফুর তাঁহার বিরুদ্ধে প্রেরিত হইলে তিনি সেই অভিযান প্রতিরোধ করিতে ব্যর্থ হন এবং প্রচুর ধনরত্নাদি প্রদান করিয়া আত্মসমর্পণ করেন।

(গ) অতঃপর ১৩১০ খ্রীষ্টাব্দে মালিক কাফুর হোয়সল রাজ্যের রাজধানী দ্বারসমুদ্র আক্রমণ করেন। রাজা বীরবল্লাল অতর্কিত আক্রমণে পরাজিত হইয়। প্রচুর ধনরত্ন ক্ষতিপূরণ হিসাবে দান করিতে এবং দিল্লীর বশ্যতা স্বীকার করিতে বাধ্য হইলেন।

পান্ড রাজ্য দেবগিরিরাজ শঙ্কর

(ধ) আরাও দক্ষিণে পাণ্ড্য রাজ্যের রাজ- পরিবারে ভ্রাতৃদ্বন্দ্বের সুযোগ লইয়া মালিক কাফুর ১৩১১ খ্রীষ্টাব্দে ঐ রাজ্যের রাজধানী মাহুরা দখল করিলেন এবং সেতুবন্ধ রামেশ্বর পর্যন্ত অগ্রসর হইলেন।

(ঙ) ইহার পর দেবগিরির রাজা রামচন্দ্রের পুত্র শঙ্কর কর প্রদান বন্ধ করিয়া পুনরায় স্বাধীন হইবার চেষ্টা করিলে মালিক কাফুর ১৩১৩ খ্রীষ্টাব্দে তাঁহাকে পরাজিত ও নিহত করেন ।

এইভাবে দাক্ষিণাত্যও তাঁহার সাম্রাজ্যভুক্ত হইল। আলাউদ্দিন প্রায় সমগ্র ভারতে এক বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠিত করিলেন।

উপসংহার

উপরে উল্লেখিত আলাউদ্দিন খলজির সিংহাসন আরোহন ও দক্ষিণ ভারত অভিযান আসাকরবো আপনাদের ভালো লেগেছে। এই বিষয় সম্পর্কিত অন্য তথ্য আপনাদের জানার থাকলে বা জানা থাকলে তা আমাদের কম্যান্ড বক্সতে কম্যান্ড করে আপনার অভিজ্ঞাতাকে শেয়ার করতে পারেন।

FAQs

প্রশ্ন: আলাউদ্দিন খলজির দক্ষিণ ভারত অভিযানে তার সেনাপতি কে ছিলেন?

উত্তর: “মালিক কাফুর” আলাউদ্দিন খলজির দক্ষিণ ভারত অভিযানের সেনাপতি ছিলেন।

প্রশ্ন: আলাউদ্দিন খিলজির দাক্ষিণাত্য অভিযানের মূল উদ্দেশ্য কি ছিল?

উত্তর: আলাউদ্দিন খিলজির দাক্ষিণাত্য অভিযানের মূল উদ্দেশ্য ছিল দক্ষিণ রাজ্যগুলিকে সংযুক্ত করা।

প্রশ্ন: খিলজী বংশের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: জালালউদ্দিন ফিরোজ খিলজি ছিলেন খিলজী বংশের প্রতিষ্ঠাতা।

প্রশ্ন: মালিক কাফুর কে ছিলেন?

উত্তর: আলাউদ্দিন খলজির এক জন বিশ্বস্ত সেনাপতি ছিলেন মালিক কাফুর। তিনি আলাউদ্দিন খলজির দক্ষিণ ভারত অভিযানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে ছিলেন।

প্রশ্ন: প্রথম দক্ষিণ ভারত অভিযান করেন কে?

উত্তর: আলাউদ্দিন খলজি প্রথম দক্ষিণ ভারত অভিযান করেন।

Hey, My Name is Priyanka From Diamond Harbour, West Bengal & I Have Been Blogging Since 3 Years Ago. I Have 10+ Websites Which I Manage by Myself. I completed my graduation in philosophy.

Leave a Comment