ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট থাকলে সাবধান! বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

WhatsApp Group (Join Now) Join Now
Telegram Group (Join Now) Join Now
Rate this post

আপনার যদি জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্ট অর্থাৎ ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালান্স সেভিং অ্যাকাউন্ট থাকে, তাহলে আপনার নিকটস্থ সেই ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চে গিয়ে যোগাযোগ করুন। কারন সম্প্রতিক বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদেরকে জানিয়ে দেয়া হচ্ছে, যাদের জিরো ব্যালান্স সেভিং অ্যাকাউন্ট রয়েছে তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাদের নিকটস্থ ব্রাঞ্চে গিয়ে, তাদের সমস্ত রকম ডকুমেন্টস আপলোড করার জন্য। তা না হলে আপনার জিরো ব্যালান্স অ্যাকাউন্টে টাকা তোলা বা জমানো পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট কি এবং কেন খোলা হয়েছিল?

ভারতবর্ষের গ্রাম ও শহরাঞ্চলের নাগরিকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে, যাতে সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা সরাসরি পৌঁছে দেওয়া যায় তার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী জনধন প্রকল্প চালু করা হয়েছিল। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকরা জিরো ব্যালেন্স একাউন্ট খুলতে পারে অর্থাৎ যেখানে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে কোনরকম ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স মেইনটেইন করতে হয় না।

অ্যাকাউন্টে মোটে টাকা না থাকলেও সেই অ্যাকাউন্ট সক্রিয় থাকবে অথবা কোন চার্জ কাটা হবে না। এছাড়াও সাধারণ মানুষকে ব্যাঙ্ক মুখী করে তুলবার জন্য এই জনধন প্রকল্প চালু করেন মাননীয় প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কারণ অনেকে তাদের জমানো টাকা ব্যাঙ্কে না রেখে চিটফান্ডে রেখে সর্ব শান্ত হয়ে গিয়েছে।

🔥আরও পড়ুনঃ-

👉 উচ্চমাধ্যমিক পাশে শিশু সুরক্ষা দপ্তরে কর্মী নিয়োগ

ব্যাঙ্কে জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্টের জন্য কি আপডেট এসেছে?

জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট প্রকল্পের মাধ্যমে নাগরিকরা স্টেট ব্যাঙ্ক, পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্ক, কানারা ব্যাঙ্ক ন্যায় প্রভৃতি ব্যাঙ্কে তাদের জিরো ব্যালেন্স সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলেছে। বর্তমানে এই সমস্ত ব্যাঙ্ক গুলি তাদের জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ই কেওয়াইসি করার জন্য আবেদন করছে।

কারণ এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় কারোর ফোন নাম্বার আবার কারোর আধার কার্ড সাবমিট করা হয়নি। এছাড়া অ্যাকাউন্ট হোল্ডার আদৌ বেঁচে আছে কিনা এবং তার ঠিকানার কোনো বদল হয়েছে কিনা তা ব্যাঙ্কের জানা নেই। তাই এই সমস্ত অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে নিকটস্থ কোন ব্রাঞ্চে গিয়ে ই কেওয়াইসি করে নেবার আবেদন করা হচ্ছে।

eKYC করা না থাকলে কি সমস্যা হতে পারে?

eKYC করা না থাকলে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট হোল্ডাররা খুব বড় সমস্যার মধ্যে পড়তে পারে। কারণ যদি এই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট কোনো সরকারি প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থেকে তাহলে সরকারি যাবতীয় প্রকল্পের টাকা ঢোকা বন্ধ হয়ে যাবে। এছাড়া ওই ব্যাঙ্কের যত রকম ট্রানজাকশন, সে টাকা তোলা হোক বা জমা করা তা বন্ধ হয়ে যাবে।

eKYC করতে গেলে কি কি ডকুমেন্টস লাগবে?

eKYC করতে গেলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে তার আধার কার্ড, ব্যাঙ্কের পাস বুক, সম্প্রতি তোলা পাসপোর্ট সাইজের কালার ফটো, এবং যদি প্যান কার্ড থাকে তাহলে প্যান কার্ড সহ উপরে উল্লেখিত ডকুমেন্টগুলি নিয়ে নিকটস্থ ব্যাঙ্কের ব্রাঞ্চ অফিসে গিয়ে ই কেওয়াইসি করে নিতে হবে।

Leave a Comment